পদ্মাসেতু নিয়ে গুজব, গ্রেফতার ৮

ই-বার্তা ডেস্ক।।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা ও রক্ত লাগবে বলে কিছুদিন আগে গুজব ছড়ানো হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।  

চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ একই কারণে গ্রেফতার করেছে তিন জনকে। র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃতরা হলেন—শহীদুল ইসলাম (২৫), আরমান হোসাইন (২০), ফারুক (৫০), হায়াতুন্নবী ও পার্থ আল হাসান (১৬)। বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।

গতকাল শুক্রবার বিকালে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি মো. মিজানুর রহমান ভুঁইয়া জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। তাদের থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

এদিকে কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, ‘এক লাখ শিশুর মাথা কেটে তৈরি হচ্ছে পদ্মা সেতু’ ফেসবুকে এমন গুজব ছড়ানোর অভিযোগে হায়াতুন্নবী নামে ঐ যুবককে আটক করেছে র‌্যাব। শুক্রবার ভোরে জেলার লাকসাম থেকে তাকে আটক করা হয়। অন্যদিকে শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে ওসি মো. নাসিম উদ্দিন পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতারের কথা জানান। 

পুলিশ সদর দপ্তর এ নিয়ে নাগরিকদের উদ্দেশে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ঐ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না। পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা ও রক্ত লাগবে, এটা গুজব।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও জানিয়েছে পুলিশ। 

পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রচারণাকে ‘কুচক্রী মহলের গুজব’ বলে জানিয়েছে পদ্মা সেতু প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তার কাছে লেখা চিঠিতে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ পরিচালনায় মানুষের মাথা লাগবে বলে একটি কুচক্রী মহল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তা প্রকল্প কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এটি একটি গুজব। 

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু