‘পাটের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে’

ই- বার্তা ডেস্ক।।   বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) মন্তব্য করেছেন যে, বাংলাদেশের সোনালি আঁশ পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সরকার। পাশাপাশি কৃষকের পাটের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতেও সরকার সচেষ্ট রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ( ৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে পাটবিষয়ক সমন্বয় কমিটির সভায় তিনি একথা বলেন ।

তিনি বলেন, ‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)’র মাধ্যমে পাটের বহুমুখী ব্যবহার বাড়ানোর জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ সুষ্ঠুভাবে শতভাগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও সবধরনের কাঁচা পাটের রফতানি উন্মুক্ত রয়েছে। পাশাপাশি ১৯টি পণ্য মোড়কীকরণের ক্ষেত্রে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের অভ্যন্তরে পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়ানো ও জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বিভাগীয় শহর ও ঢাকার বড় বড় শপিংমলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের প্রদর্শনী (ডিসপ্লে) সেন্টার ও বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমান সরকারের গৃহীত নীতিমালা ও পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে পাট ও বস্ত্রখাতের রফতানি বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, পরিবেশ রক্ষা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার ক্ষেত্রে এ মন্ত্রণালয় সফল হবে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, বিজেএমসির চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ নাসিম, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শামসুল আলম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়,বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, পরিকল্পনা কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং পাটবিষয়ক সমন্বয় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।