পারস্য উপসাগরে উত্তেজনা বৃদ্ধি বড় সংঘাতের সংকেত

ই-বার্তা ডেস্ক।।  পারস্য উপসাগরে একের পর এক উত্তেজনাকর ঘটনাবলীর পর একটি ইরানি ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগের ঘটনাগুলোর জন্য তেহরানকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।  

আরব আমিরাত ও সৌদি তেলট্যাংকারে হামলাসহ জাহাজের গায়ে লিমপিট মাইন স্থাপনের অভিযোগের তীরও তেহরানের দিকে। এছাড়া সিরিয়া ও ইয়েমেনে ছায়াযুদ্ধ নিয়েও উত্তেজনা রয়েছে।

গত মে মাসে ইরানি বাহিনীর কাছ থেকে হুমকির আভাসের জবাবে ইরানি জলসীমার কাছে একটি রণতরী ও বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে পেন্টাগন। জুনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক নজরদারি ড্রোন গুলি করে ধ্বংস করেছে তেহরান। এতে ইরানের বিরুদ্ধে বিমান হামলার হুমকি দিয়েও শেষ মুহূর্তে এসে তা থেকে সরে আসেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

তিনি তখন বলেন, এ হামলা সমানুপাতিক হতো না এবং সেখানে বড় ধরনের হতাহতের হুমকি ছিল।

গত ৪ জুলাইয়ে জাবাল আল-তারিক প্রণালীর কাছ থেকে একটি ইরানি তেল ট্যাংকার জব্দ করে ব্রিটেন। মার্কিন মিত্র দেশটির দাবি, ওই ট্যাংকারে তেল নিয়ে সিরিয়ার পরিশোধনাগারে যাওয়া হচ্ছিল, যেটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন।

ব্রিটেনের এই পদক্ষেপকে ক্ষুব্ধ ইরান দস্যুতা হিসেবে আখ্যায়িত করে। সপ্তাহখানেক পরে পারস্য উপসাগরে সশস্ত্র ইরানি বোট একটি ব্রিটিশ তেল ট্যাংকারকে ধাওয়া করে জব্দের চেষ্টা চালায়। কিন্তু ব্রিটিশ রয়েল নেভির যুদ্ধজাহাজ তাদের তাড়িয়ে দেয়।

এতে উপসাগরীয় তেল ক্ষেত্রগুলো থেকে হাইড্রোকার্বন বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া নৌযানগুলোর নিরাপত্তা দিতে হরমুজ প্রণালীতে আন্তর্জাতিক নৌবহরগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার উপসাগরীয় নৌপথে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অংশীদার দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান কেনেথ ম্যাককেনজি।

এসব ঘটনাপ্রবাহ ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশগুলোর আঞ্চলিক সংঘাতেরই আভাস দিচ্ছে। কারণ এই হজমুজ প্রণালী দিয়ে পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ তেল পরিবহন করা হয়।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু