পাল্টে যাবে বাজটে উপস্থাপনার ধরন

ই-বার্তা ডেস্ক।।  ২০১৯-২০ চলতি অর্থবছরের বাজেট একেবারে সহজ-সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপনের সিধান্ত নেওয়া হয়েছে।  বিশেষ করে জনগণ যেন বাজেটের সবকিছু বুঝতে পারে, সেভাবে বাজেট উপস্থাপন করা হবে।

এ ছাড়া বাজেট বক্তৃতার ধরনও পাল্টে যাবে। পাশাপাশি বক্তৃতার আকারও কমিয়ে আনা হবে। সর্বশেষ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতা ছিল ১৫৬ পৃষ্ঠার।

তা উপন্থাপন করতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। এবার সময় বাঁচাতে এবং জনগণের কাছে সহজবোধ্য করতে বাজেট বক্তৃতার আকার অর্ধেকে নেমে আসছে। উপস্থাপনের ক্ষেত্রে আরও ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। অর্থ বিভাগের একাধিক সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছেন। সম্প্রতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাজেট হবে সহজ-সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায়। সাধারণ মানুষকে বেশি করে কীভাবে সম্পৃক্ত করা যায়, সে চেষ্টাই থাকবে। অন্য বছরের তুলনায় প্রাক-বাজেট মিটিংও কম করা হবে। 

এ অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপির আকার প্রস্তাব করা হয়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৪০ কোটি টাকা। সূত্র জানায়, বাজেটে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি সুখী ও সমৃদ্ধিশালী উন্নত দেশ।  সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের পরিকল্পনা থাকবে বাজেটে।  অর্থ বিভাগের অপর একটি সূত্র জানায়, আগামী ২০২১ সালের আগেই দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।  এ জন্য তিন বছর মেয়াদি বাজেট পরিকল্পনা করা হচ্ছে। 

ই-বার্তা / আরমান হোসেন পার্থ