পিরোজপুরে শুরু হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রভাব

ই-বার্তা।।  ইতিমধ্যে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ৭ নম্বর নৌ-হুশিয়ারি বিপদ সংকেত দেয়ার পর শুক্রবার দুপুর থেকেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি চলছে।

পুরো আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও গুমোট। অমাবশ্যার কারণে নদ-নদীর পানি দুই থেকে আড়াই ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন, জেলার ৭টি উপজেলার ২ হাজার ২শ’ ২২টি সাইক্লোন শেল্টারে নদীর পারের অন্তত ২৫ হাজার মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির পরিমাণ কমাতে জেলা প্রশাসক বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে দফায় দফায় সভা করেছেন।

এছাড়া তিনি সংবাদকর্মীদের সঙ্গেও বৃহস্পতিবার সভা করেছেন। এতে তিনি জানান, সাইক্লোন শেল্টার ছাড়াও শহর-গ্রাম-গঞ্জের পাকা অবকাঠামোগুলোতে দুর্যোগের সময় মানুষ ঠাঁই নিতে পারবে সে ব্যাবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, দুর্যোগকালীন সময় শিশু, বৃদ্ধ সও গর্ভবতী মায়েরা যাতে কষ্ট না পায় সেজন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া, তার হাতে অর্থ মজুদ রয়েছে ৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, দুর্যোগকালীন জেলায় উদ্ধার ও স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার জন্য বিমান বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এ সময় তিনি বলেন, জেলার সদর, নেছারাবাদ ও মঠবাড়িয়া উপজেলাসহ জেলায় মোট তিন প্লাটুন সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

এছাড়া, খাদ্য মজুদ ৪শ’ ৪০ মে.টন চাল, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৪৮ বান ঢেউ টিন, ২ হাজার ১৮৭জন স্বেচ্ছাসেবক এবং জেলা প্রশাসনের দু’জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ৭ উপজেলার ট্যাগ অফিসার হিসেবে রাখা হয়েছে।

জেলা সদরসহ সাত উপজেলায় ৭ টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। জেলার ৫১ টি ইউনিয়নে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে ৫৭ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

পিরোজপুর পৌর এলাকাসহ উপজেলা পর্যায়ে মাইকিং করে ঘুর্ণিঝড়ের বিপদসংকেত প্রচার, জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল, রেডক্রিসেন্ট-সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের সক্রিয়করণ, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুদ রাখা, ফিসিং ট্রলার ও জেলেদের উপকূলবর্তী নিরাপদ স্থানে রাখাসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।