পুত্র সন্তানের আশায় তরুণীকে অপহরণ করে বিয়ে! অতঃপর…

ই-বার্তা ।।  পেশায় তিনি একজন শিক্ষক। নিজের ১৪ বছর বয়সী একটি কন্যাও রয়েছে। কিন্তু পুত্র সন্তানের জন্য এক ন্যাক্কারজনক কাজে লিপ্ত হলেন ওই শিক্ষক। ঘটনাটি হলো- ১৯ বছরের এক তরুণীকে অপহরণ করে বিয়ে করেন ৪৫ বছর বয়সী এক স্কুল শিক্ষক।

এ ঘটনায় অবশ্য ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তার অভিভাবক-সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনেতে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিবাহিত ওই শিক্ষকের প্রথম পক্ষের স্ত্রীও এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। ওই দম্পতির ১৪ বছরের মেয়ে থাকলেও পুত্র সন্তানের জন্য পাগল ছিলেন ওই শিক্ষক। এ কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেন ওই শিক্ষক। শেষ পর্যন্ত ১৯ বছরের ওই তরুণীকে পছন্দ হয় তার।

কিন্তু, ওই তরুণী বিয়েতে রাজি ছিলেন না। এরপরে মেয়েটির অভিভাবকের সাথে কথা বলে গোপনে বিয়ে ঠিক করেন ওই শিক্ষক। ওই তরুণীকে বিয়ে দেয়ার পরিবর্তে তার অভিভাবকদের নগত ৫ লাখ টাকা এবং একটি ফ্ল্যাটও কিনে দেন বলে জানা গেছে।

পরে ওই তরুণীকে অপহরণ করে ইয়েরমালার একটি ফ্ল্যাটে বন্দী করে রাখা হয়। সেখানে মোবাইলে ভিডিও তুলে স্থানীয় পুলিশের কাছে পাঠাতে সক্ষম হয় ওই তরুণী। এরপর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে পুনেয় অভিভাবকের বাড়িতে পৌঁছে দেয়।

কিন্তু, বাড়ি ফিরে ওই তরুণী জানতে পারেন, এই ঘটনায় তার বাবা-মাও জড়িত। তারা ক্রমাগত ওই শিক্ষকের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন ওই তরুণীকে।

পরে বাধ্য হয়ে গত ২০ এপ্রিল থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষক, তার স্ত্রী, মেয়েটির অভিভাবক-সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৬, ৩৮৪ এবং ৩৮৫ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।