পুরান ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত নিয়ে বিপরীত বক্তব্য

ই-বার্তা ডেস্ক ।।   পুরান ঢাকার শহীদনগরের আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে কারখানার মালিকরা দাবি করেছেন, বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এদিকে, কারখানাগুলোতে যে গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার হতো, তা থেকেই রাতে ২টি সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ফায়ার সার্ভিসকে পানি সংকটের কারণেও আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফার লোভ এই এলাকাকে পরিণত করেছে মৃত্যুফাঁদে।আগুনে ঝলসে গেছে আশ্রয়। পাশের কারখানার আগুনে পুরোপুরি পুড়ে গেছে ৪টি ঘর।

এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, আগুনে তাদের সব শেষ। কারখানা যেহেতু ঘন ঘন হচ্ছে তখন আর বসবাসের উপযোগী আর নেই বলেও জানান তারা।

রোববার (২৪ মার্চ) সকালে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্তরা কারখানায় জড়ো হন। পুড়ে গেছে ৭ টি কারখানাসহ ১২ টি ঘর। প্রায় ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির দাবি জমি ও কারখানা মালিকদের। তারা সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত দাবি করলেও, তদন্তকারী সংস্থাগুলো এখনো বলতে পারছেন না কারণ।

 প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানাগুলোতে গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার হতো, তা থেকেই রাতে ২টি সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। সবাই লাভের দিকটা দেখছে সাধারণ জনগণের ক্ষয়ক্ষতির দিকে তাদের নজর নেই।

শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে দাবি জমি ও কারখানা মালিকদের। তবে তদন্তকারী সংস্থাগুলো এখনও বলতে পারছেন না আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে।

এ ব্যাপারে পুলিশ জানান, পুরান ঢাকায় প্রায় প্রতিটি বাড়ির নিচেই নানা ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে দাহ্য পদার্থের অভাব নেই এলাকাজুড়ে।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টার ১ মাস না যেতেই শহীদনগরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। কয়েকসপ্তাহ আগেই ঠিক এই গলিটাতেই অভিযান চালাতে গিয়ে শ্রমিকদের বাধার মুখে পড়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

ই-বার্তা / শাহাদাত ছৈয়াল