পুলিশি বাধায় আবরারের বাড়ি যেতে পারলেন না বিএনপি নেতারা

ই- বার্তা ডেস্ক।।   ছাত্রলীগের পিটুনিতে মারা যাওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাড়িতে যেতে বাধার সম্মুখীন হলেন বিএনপি নেতারা।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানের নেতৃত্বে আবরার ফাহাদের পরিবারকে সমবেদনা ও তার কবর জিয়ারত করতে আসা বিএনপি নেতাদেরকে কুষ্টিয়ায় প্রবেশে বাধা দিয়েছে পুলিশ।

আজ রোববার সকালে লালন শাহ সেতুর টোলপ্লাজায় বিএনপি নেতারা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পুলিশের বাধার মুখে প্রায় ২০ মিনিট উভয়পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি শেষে গাড়ি ঘুরিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন বিএনপি নেতারা।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার ভোরে আবরারের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে যাওয়ার জন্য আমানউল্লাহ আমানের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল রওনা দেন। এ সময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিমউদ্দিন আলম ছাড়াও অন্যান্য নেতারা ছিলেন। বিএনপি নেতাদের আসার খবর জানতে পেরে সকাল থেকেই জেলা ও গোয়েন্দা পুলিশ লালন শাহ সেতু এলাকায় অবস্থান নেয়। তারা বিভিন্ন গাড়িতে তল্লাশি চালায়।

রোববার বেলা ১১টা ২০ মিনিটের বিএনপির প্রতিনিধি দলটি লালন শাহ সেতুর ভেড়ামারা অংশে পৌঁছায়। সেখানে অবস্থানরত কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) এস এম আল বেরুনী, ভেড়ামারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আলীমসহ পুলিশ সদস্যরা বিএনপি নেতাদের গাড়ির গতি রোধ করেন। এরপর পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ সড়কের ওপর সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে বাধা তৈরি করে।

বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমান গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘কেন্দ্রের নির্দেশে আবরাবের বাড়িতে যাওয়া হচ্ছে। তার মা–বাবার সঙ্গে কথা বলব। যেতে না দিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেবেন না।’ এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমী ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ সোহবার উদ্দিন।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) এস এম আল বেরুনী এ সময় আমানউল্লাহ আমানের উদ্দেশে বলেন, ‘সেফটি সিকিউরিটি পারপাসে আমরা আপনাকে অ্যালাউ করছি না। আপনি সামনে ঘুরে ব্যাক করেন।’

আমানউল্লাহ আমান তখন বলেন, ‘আমি চারবার এমপি ছিলাম, দুবার মন্ত্রী ছিলাম। কেন আমাকে যেতে দেবেন না? আমরা দেশের নাগরিক তাই আবারারের বাড়িতে যাব।’

এরপর পুলিশ কর্মকর্তা এসএম আল বেরুনী আমানউল্লাহ আমানের উদ্দেশে বলেন, ‘আবরারের বাড়িতে গেলে গণ্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ জন্য অ্যালাউ করব না। আমাদের ম্যাসেজটাও বুঝতে হবে।’

এভাবে প্রায় ২০ মিনিট বাদানুবাদ শেষে গোলচত্বর ঘুরে আমানউল্লাহ আমানের গাড়িটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।