পৃথিবীর সেরা ১০ আইকিউ সম্পন্ন ব্যক্তি

ই-বার্তা।। মানুষের বুদ্ধ্যঙ্কের বা আইকিউ এর উপর নির্ভর করে হিসেব করা হয় তাদের বুদ্ধিমত্তা ও জ্ঞান। যার আইকিউ বেশি সে তত বেশি বুদ্ধিমান। আর অপরদিকে যার আইকিউ কম সে কম বুদ্ধিমান বা জ্ঞানী। এটি মুলত একটি সংখ্যার হিসেব। এই হিসেব থেকেই মানুষের জ্ঞান পরিসীমা মাপা হয়। মানুষের জ্ঞানের সীমা মাপার জন্য বিভিন্ন বুদ্ধি ভিত্তিক পরীক্ষা নিরিক্ষা করে এই হিসেব করা হয়।

আসুন জেনে নেই পৃথিবীর সেরা ১০ আইকিউ ধারী ব্যক্তির নাম ও তাদের আইকিউএর পরিমান।

১. উইলিয়াম জেমস সিডিস
এই ব্যক্তির আইকিউ এর পরিমাণ ২৫০-৩০০। তিনি মাত্র দুই বছর বয়সে ইংরেজি পড়তে ও ইংরেজি সাহিত্য লিখতে পেরে গিয়েছিলেন। তিনি আজীবন ক্যালেন্ডারের ফর্মুলা দেন। অর্থাৎ যার মাধ্যমে যে কোন দিনের যে কোন সময়ের তারিখ, বার, মাস, দিনের হিসেব করা যাবে। মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৬ বছর বয়সের আগে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি অনেক গুলো ভাষায় কথা বলতে পারতেন। মাত্র ৪৬ বছর বয়সে ব্রেন হেমারেজ হয়ে তিনি মারা যান।

২. টেরেন্স টাও
তিনি পৃথিবীর দ্বিতীয় আইকিউ ধারী ব্যক্তি। তার আইকিউ এর পরিমাণ ২২৫০-২৩০। মাত্র দুই বছর বয়সে তিনি তার মেধার প্রতিভা প্রদর্শন করেন। মাত্র দুই বছর বয়সে তিনি জ্যামিতিক সমস্যার সমাধান করেন। মাত্র নয় বছর বয়সে তিনি ফ্লিন্ডার ইউনিভার্সিটি থেকে গণিতে ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৭ বছর বয়সে পোস্ট গ্রাডুয়েট ডিগ্রি এবং ২০ বছর বয়সে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি ফিল্ড মেডেল অর্জন করেন যা গণিতের নোবেল পুরষ্কার হিসেবে খ্যাত। তবে তিনি ২০০৬ সালে পুরষ্কারটি ফেরত দিয়ে দেন।

৩. খ্রিস্টফার হারাডা
তিনি একজন জাপানিস অ্যামেরিকান নাগরিক। তার আইকিউ এর পরিমাণ ২২৫। তিন বছর বয়সে তিনি তার পরিবারের বাজারের হিসেব কসতে পারতেন। তিনি ইংরেজি বর্ণমালার একজন কোডার। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটিতে দুই বছর পড়াশুনা করেন। এরপর তিনি নাসায় যোগ দেন একটি প্রোজেক্টের অন্তর্ভুক্ত হয়ে।

৪. কিম আন ইয়ং
কোরিয়ান এই ব্যক্তির আইকিউর পরিমাণ ২১০। ৬ মাস বয়স থেকে তিনি স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে শিখে গিয়েছিলেন। তিনি হং ইউং বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষার্থী হয়েছিলেন মাত্র তিন বছর বয়সে। তিন বছর বয়সে তিনি ৪ টির মত ভাষায় কথা বলতে শিখে গিয়েছিলেন। একই সাথে তিন বছর বয়সের মধ্যেই তিনি ডিফারেন্সিয়াল ক্যালকুলাস সমাধান করতে পেরেছিলেন। মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি নাসা থেকে ডাক পেয়েছিলেন কাজ করার জন্য এবং ইউএসএ পড়াশুনা করার জন্য।

৫. জেরি ক্যাস্পারভ
তার আইকিউ এর পরিমাণ ১৯৪। তিনি রাশিয়ার চেস গ্র্যান্ড মাস্টার। তিনি পৃথিবীর সেরা পুরুষ চেস মাস্টার। তিনি পৃথিবীর সর্ব কনিষ্ঠ গ্র্যান্ড মাস্টারও বটে। তিনি একই সাথে একজন লেখক ও রাজনীতিবীদ।

৬. রিচার্ড রস্নার
এই ব্যক্তির আইকিউ এর পরিমাণ ১৯২। ২০১৩ সালে তিনি এই মর্যাদা অর্জন করেন। অ্যামেরিকান শো হু ওন্টেড টু বি এ বিলিনিয়ার এ তিনি প্রথম তার প্রতিভার নজির দেখাতে সক্ষম হন। দিনে ২০ ঘণ্টা পড়াশুনা করার রেকর্ড আছে তার।

৭. লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি
ইতালিয়ান এই চিত্র শিল্পির আইকিউ এর পরিমাণ ১৮০ থেকে ১৯০। যদিও এটি ধারণা করা হয়। কারন তার সময়ে আইকিউ পরিমাপের পদ্ধতি আবিস্কৃত হয়নি। মনালিসা ছবিটি আকার জন্য তিনি পৃথিবী বিখ্যাত। তার আরও অনেক শিল্পকর্ম রয়েছে।

৮. জুডিট পগ্লার
৩৭ বছর বয়সী এই হাঙ্গেরিয়ান নারী একজন চেস মাস্টার। তিনি ইতিহাসের অন্যতম সেরা একজন নারী দাবারু। তার আইকিউ এর পরিমাণ ১৭০। তিনি ১৯৯১ সালে বিশ্বের সর্ব কনিষ্ঠ চেস মাস্টারের খেতাব অর্জন করেন।

৯. আলবার্ট আইনস্টাইন
আলবার্ট আইনস্টাইন ও একজন পদার্থ বিজ্ঞানী। তার আইকিউ এর পরিমাণ ১৬০-১৯০। তিনি রিলেটিভিটি থিউরি প্রবক্তা হসেবে বেশি সমাদৃত। তবে তার শৈশবে তিনি দেরিতে কথা বলা শেখেন। চার বছর বয়সে তিনি প্রথম কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হয়েছিলেন।

১০. স্টিফেন হকিং
স্টিফেন হকিং পৃথিবীর ১০ম আইকিউ ধারী ব্যক্তি। তার আইকিউ এর পরিমাণ ১৫৪। তিনি অ্যামেরিকার পদার্থ ও মহাকাশ বিজ্ঞানী। মজার ব্যপার হল শৈশবে তিনি তার ক্লাসের সবচেয়ে খারাপ ছাত্র ছিলেন। কিন্তু তিনি আবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ফুল স্কলার ছাত্র ছিলেন। মহাকাশ গবেষণা ও মহাকাশ তত্ত্বের জন্য তিনি বিখ্যাত।