পোকায় খেয়ে ফেললো জীবন্ত মডেলকে!

ই-বার্তা ।।  জর্জিয়ার সাবেক মডেল রেবেকা জেনি। তাকে জীবন্ত খেয়ে ফেলেছে প্যারাসাইট মাইটস বা পরজীবী পোকামাকড়।

তাকে ভর্তি করা হয়েছিল জর্জিয়ার একটি নার্সিং হোমে। তার শরীরে ছিল পাঁচড়া জাতীয় সংক্রমণ। এতে তার দেহের পুরো রক্ত নষ্ট হয়ে যায়। পচে যেতে থাকে শরীর।

এক পর্যায়ে তাকে ফেলে রাখা হয়। তখন জীবন্ত রেবেকা জেনিকে পোকামাকড়ে খেয়ে তার জীবনাবসান ঘটায়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ফক্স নিউজ।

মৃত্যুর পর তার ময়না তদন্ত হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, তিনি মারা গেছেন পচন রোগ থেকে। তাকে পোকামাকড়ে খেয়ে ফেলেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, তাকে যেখানে রাখা হয়েছিল সেখানে পোকামাকড়ের ভীষণ উপদ্রব। কিন্তু তারা এ বিষয়টি কানেই তোলে নি।

আর তো তদন্ত বা পরিদর্শন দূরের কথা। সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, মানব শরীরে যদি এমন কোনো পোকামাকড় কামড় দেয় যা থেকে চুলকানি হয়, সেখান থেকে সংক্রমণ ঘটতে পারে। এমন রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী স্ক্যাবিস। অতি ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক পরজীবী ত্বকের উপরের স্তরে কামড় দেয়। তারা বসবাসও করে সেখানে এবং ডিমও দেয় এই ত্বকের ওপরে।

উল্লেখ্য, রেবেকা জেনি তার যৌবনের অনেকটা সময় কাজ করেছেন নৌবাহিনীর একটি ইয়ার্ডে। এক পর্যায়ে তিনি নিউ ইয়র্ক সিটিতে মডেলিং প্রজেক্টে কাজ করেন। শিকাগোতে একটি টেলিভিশন স্টেশনের হয়ে কাজ করেছেন। শেষ দিকে তার স্মৃতিভ্রম হয়। ফলে এক পর্যায়ে ২০১০ সালে তার মেয়ে তাকে একটি নার্সিং হোমে রেখে আসেন। এরপর দেখাশোনার দায় বর্তায় ওই নার্সিং হোমের।

এটি পরিচালনা করেন প্রুইট হেলথ নামের একটি সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে এখন মামলা করছে রেবেকা জেনির পরিবার। এমনটি জানিয়েছেন ওই পরিবারের আইনজীবী মাইক প্রিয়িতো।

তিনি বলেন, কিভাবে একজন মানব সন্তানকে তারা দুর্ভোগের মাধ্যমে মরতে দিয়েছে এটা আমি বুঝতে পারি না। উল্লেখ্য, রেবেকা জেনি যখন মারা যান তার আগে তার কিছু ছবি তোলা হয়। তাতে দেখা যায়, তার ত্বক কালো কালো ফোসকার মতো হয়ে ভরে গেছে। তা শুকিয়ে মোটা হয়ে গেছে।

তাই আইনজীবী বলছেন, ওই নার্সিং হোমের স্টাফরা রেবেকার হাতটি পর্যন্ত স্পর্শও করতো না।

একটি নিউজ স্টেশনকে ফরেনসিক প্যাথোলজিস্ট ডা. ক্রিস স্পেরি বলেছেন, আমি এ যাবত ৬ হাজার ময়না তদন্ত করেছি। কিন্তু রেবেকা জেনির ময়না তদন্ত ছিল আমার কাছে সবচেয়ে ভয়াবহ। এমনটা আমি আমার জীবনে দেখি নি।

আরেকজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ময়না তদন্ত রিপোর্ট দেখে বলেছেন, রেবেকার দেহের ভিতর মারা যাওয়ার আগে কোটি কোটি সংক্রমণ সৃষ্টিকারী পরজীবী প্রবেশ করেছিল। এ থেকে তিনি ভীষণ কষ্ট পেয়ে মারা গেছেন। আমি এটাকে অবহেলায় হত্যা বলে আখ্যায়িত করি।