প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে সরকারের পতন ঘটবেঃ সেলিমা রহমান

ই- বার্তা ডেস্ক।।   প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে সরকারের পতন ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান।

আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান এতে সভাপতিত্ব করেন। সরকারের সমালোচনা করে বেগম সেলিমা রহমান বলেন, সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে। এই অবৈধ সরকারকে যদি দমন করতে হয়, তার একমাত্র পথ হচ্ছে রাজপথের আন্দোলন। তাই আজ ফেলানী হত্যা দিবসে আমরা শপথ করি সমস্ত মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদের ঝাণ্ডা তুলে ধরি। এই প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটবে।

সেলিমা বলেন, আমরা আজ কিভাবে আক্রান্ত হচ্ছি, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে যে এনআরসি আইন পাস করা হয়েছে, এই আইনের মাধ্যমে ভারতের মুসলিম নাগরিকদের তাড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মিয়ানমারের আগ্রাসী শক্তির কারণে রোহিঙ্গারা আজ আমাদের দেশে অবস্থান করছে। এখন ভারতের মুসলমানদের বাংলাদেশে তাড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, তিস্তার জন্য উত্তরবঙ্গে হাহাকার, মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মাঠের ফসল হচ্ছে না। কৃষকেরা হাহাকার করছে, কিন্তু আমাদের কোন প্রতিবাদ নেই, বর্তমান সরকারেরও কোনো প্রতিবাদ নেই।

তিনি আরও বলেন, এই হলো বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা। এর কারণ বর্তমানে বাংলাদেশে যেই সরকার রয়েছে, তারা জবাবদিহিতামূলক সরকার নয়। কারণ এই সরকার সম্পূর্ণ বিনা ভোটের অবৈধ সরকার। তাই জনগণের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। এই দেশে তাদের কোনো জায়গা নেই, বাংলাদেশের মানুষ তাদের কোনোদিন ভোট দেবে না। তারা ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।

সেলিমা রহমান বলেন, আমাদের কাউন্সিলর প্রার্থীকে তারা তুলে নিয়ে যাচ্ছে, এই হলো তাদের পরিকল্পনা। তারা নির্বাচন করবে না। তারা আবারও সিটি করপোরেশন দখলে নিতে চাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার জন্য আমরা কৃষক শ্রমিক জনতা মিলে যুদ্ধ করেছিলাম। এনেছিলাম দেশের স্বাধীনতা। রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, কিন্তু আজকে আমরা কী দেখতে পাচ্ছি, আমাদের স্বাধীন দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, কথা বলার অধিকার নেই, এমনকি গণতান্ত্রিক সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।