প্রধানমন্ত্রী বলেছেন লন্ডনে বসে পুলিশকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে একজন ক্রিমিন্যাল

ই-বার্তা ডেস্ক ।।  আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে লন্ডনে বসে পুলিশকে নিয়ে সরকারবিরোধী একজন ক্রিমিন্যাল দুই ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।

 প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখনো শুনি নির্বাচন সামনে রেখে তাদের মূল টার্গেটই হবে পুলিশের কিছু ঊর্ধ্বতন কয়েকজনকে মেরে ফেলে দিলেই নাকি সব ঠান্ডা হয়ে যাবে। তাদের দুইটা পরিকল্পনা। সেই একটা ক্রিমিনাল আছে, লন্ডনে বসে বসে পরিকল্পনা করে’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা হচ্ছে, পুলিশকে পয়সা দিয়ে হাতকরা, আরেকটা হচ্ছে এদেরকে হত্যা করে এদের ‘ডিমোরালাইজড’ করা। এই দুইমুখী পরিকল্পনা নিয়ে তারা এগুচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে, তারা যেটা চিন্তা করে তা না। এখন পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতা অর্জন করেছে, অনেক আত্মবিশ্বাস তাদের মাঝে ফিরে এসেছে, তাদের যে দায়িত্ব তারা সেটা কঠিনভাবে পালন না করলে এই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন আমরা করতে পারতাম না। আজকে জঙ্গিবাদ-দুর্নীতিবাজ-মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে এতে আমরা সফল হতে পারতাম না। সবথেকে বড় কথা, জনগণের সর্মথন আছে। এখন পুলিশের ওপর জনগণের একটা বিশ্বাস, আস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এই বিশ্বাসটাই সবচেয়ে বেশি কার্যকর।

প্রধানমন্ত্রী জানান, সেদিক থেকে আমি মনে করি, যেকোনো দুর্যোগ আসলে তা মোকাবেলা করার মতো ক্ষমতা আমাদের আছে। আর আমাদের মানুষও এখন এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। আমি মনে করি মানুষের সচেতনতাটাই সবচেয়ে বড় শক্তি।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে পুলিশের সাবেক কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই খুনি, অগ্নিসংযোগকারী, পুলিশের লোকদের হত্যাকারী, যেভাবে তারা হত্যা করেছে চিন্তা করা যায় না। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা, পিটিয়ে পিটিয়ে মারা, এত জঘন্য কাজ তারা করতে পারে। এরা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে।

 

 

 

ই-বার্তা / ডেস্ক