প্রিয়া সাহাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি নাসিমের

ই-বার্তা ডেস্ক।।  মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে প্রিয়া সাহা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ করেছে।  এই মিথ্যা অভিযোগের কারনে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।   

খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির মতে, কার প্ররোচনায়, কোন মহলের মদদে প্রিয়া এ ধরনের মিথ্যাচার করেছেন তা তদন্ত করে বের করা উচিত।

শনিবার ১৪ দলের পক্ষে দেয়া বিবৃতিতে মোহাম্মদ নাসিম এসব কথা বলেন। 

প্রিয়ার মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক বিনষ্ট করতে কুচক্রী মহল এ নারীকে দিয়ে কাজটি করিয়েছেন। নির্বাচিত সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করাই এর উদ্দেশ্য। তার বিরুদ্ধে দ্রুত রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে তিনি কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছে গিয়ে মিথ্যাচারের সুযোগ পেলেন সেটি বের করতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্ববাসী জানে, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সব ধর্মের মানুষ এখানে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস এবং ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারেন। বিশ্বে যা বিরল দৃষ্টান্ত। তাৎক্ষণিক বক্তব্য দিয়ে বিষয়টির প্রতিবাদ জানানোয় মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। 

গেল ১৬ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। সেখানে ১৬ দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়াও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান।

সেখানে তিনি ট্রাম্পকে বলেন, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। দেশটিতে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন। অনুগ্রহ করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। এখনো সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছেন। আমরা বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছেন, ভূমি দখল করে নিয়েছেন।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু