ফকির ভেবে আমাকে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে আটকে দেয়ঃঅমিতাভ রেজা

ই-বার্তা ডেস্ক ।। অমিতাভ রেজা চলচ্চিত্র, নাটক, বিজ্ঞাপন সব জায়গাতেই তার সমান বিচরণ। তার বিজ্ঞাপন, নাটক যেমন প্রশংসিত হয়েছে ঠিক তেমনি তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আয়নাবাজি’ রীতিমতো বাজিমাত করেছেন। সম্প্রতি দেশের একটি দৈনিক পত্রিকার টক শোতে এসে অমিতাভ জানালেন তার নানা অজানা কথা সহ আয়নাবাজি নিয়ে বিভিন্ন তথ্য।

 

বাংলাদেশে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, একজন নির্মাতা প্রথম ছবিটি হিট হচ্ছে কিন্তু তার পরবর্তী ছবিগুলো তেমন সাড়া জাগাতে পারছে না অনুষ্ঠানের শুরুতেই উপস্থাপিকার এমন প্রশ্নের উত্তরে আয়নাবাজি খ্যাত এই নির্মাতা বলেন, ‘এটা বলা কঠিন। আর ছবি হিট, অহিট এই শব্দ গুলো আমি বিশ্বাস করি না। ভালো ছবি কিনা খারাপ ছবি তা সময়ই বিচার করবে। সাময়িক বক্স অফিস থেকে কত টাকা ফেরত পেলাম তা দিয়ে তো আর ছবির সফলতা নির্ভর করে না।’

 

ছবির পূর্ব প্রচারণার করা উল্লেখ করে আমিতাভ রেজা বলেন, ‘পূর্ব প্রচারণা দিয়ে হলে শুক্র-শনিবার দর্শক নেয়া যায়। রোববার থেকে যদি ছবিতে কিছু না থাকে তাহলে হল থেকে নেমে যাবেই।’

 

মাথায় ইদানিং কেন টুপি পড়ে থাকেন দর্শকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বেশ রশিকতা করেই গুণী এই নির্মাতা বলেন, ‘টুপি ছাড়া থাকলে চুল আউলা ঝাউলা থাকে তো তাই মাঝে মাঝে পড়ি। তাছাড়া আমি শুটিং থেকে সব জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায়, ফকির ভেবে আমাকে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে আটকে দেয়। কাউকে চেক করে না শুধু আমাকেই চেক করে। তাই ইদানিং ভাব নিছি টুপি আর হাতে লাঠি। এইগুলো পড়া দেখলে ভাবে কোন সম্ভ্রান্ত পরিবারের।’

 

এদিকে আয়নাবাজি ব্যবসা সফল ছবি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মুক্তির আগ পর্যন্ত ছবিটির পেছনে খরচ হয়েছে ২ কোটি ৬ লাখ টাকা। এরপর যখন আরো কিছু হলে ছবি গুলো চলেছে তখন মেশিন ভাড়া, প্রচারণা মোট ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এরপর সব মিলিয়ে প্রডিউসারের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। তবে আমরা কিছু হলের কাছে ৬৬ লাখ টাকা পায় যা আর পাবো না। কারণ তারা বলেছে, গত ১৫ বছরে কোন ছবিতে এত ব্যবসা হয়নি। তাই তারা এই টাকা (আয়নাবাজি থেকে ইনকামের) দিয়ে হলের টাইলস, বাথরূপ ঠিক করেছে। সুতরাং আমরা এই টাকা আর কখনো পাব না।’

 

আগামী বছরে নতুন চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করবেন এই নির্মাতা। তার ‘রিক্সা গার্ল’ নামের চলচ্চিত্রটির জন্য এখন শিল্পী নির্বাচনের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।