ফণির আঘাতে সারাদেশে ১৮ জনের মৃত্যু

ই-বার্তা ডেস্ক।।  শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়, বজ্রপাতে ও বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে সারাদেশে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক।  শুক্রবার ও শনিবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

এসব হতাহতের মধ্যে আজ ভোলা জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কুরালিয়া গ্রামে ঘরচাপা পড়ে আনোয়ারা বেগম (৫০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলায় ভোর পৌঁনে ৪টার দিকে ঘরবাড়ি ধসে কমপক্ষে ৫ জন আহত হন।  নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলার সূবর্ণচরে ঘরচাপা পড়ে চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চর আমিনুল হক গ্রামের আবদুর রহমানের দুই বছরের শিশু সন্তান ইসমাইল মারা গেছে।  চর ওয়াপদা ও চর জব্বর ইউনিয়নে ৩০ জন আহত এবং শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় আজ ভোরে ঘরের নিচে চাপা পড়ে দাদি ও নাতির মৃত্যু হয়েছে।  এরা হলেন- আব্দুল বারেকের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬০) ও তার নাতি জাহিদুল ইসলাম (৮)।  এদিকে শুক্রবার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, মিঠামইন ও ইটনা উপজেলায় বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।  এরমধ্যে পাকুন্দিয়ার ৩ জন, মিঠামইনের ২ জন ও ইটনার ১ জন রয়েছেন।

এছাড়া জেলার তাড়াইল উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে কলা গাছে বিদ্যুতের তার সংযোগ হওয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৮/৯ বছরের একটি কন্যা শিশু মারা গেছে।  নেত্রকোনার মদন উপজেলায় গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের কদমশ্রী হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত হয়েছেন।  নিহতের নাম আব্দুল বারেক(৩৫)।

জেলার খালিয়াজুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম মাহমুদ আলী জানান, উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়নের পটুয়াগ্রামের কৃষক মহসিন(২৭) মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।

বাগেরহাটে শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে চোরামনকাটি গ্রামে ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে শাহানুর বেগম (৩৫) নামে এক নারী নিহত হন।  তিনি ওই গ্রামের মোজাহারের স্ত্রী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মাদারীপুরেও একজন নিহত হয়েছেন।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু