ফরেনসিক রিপোর্টে বিমান ছিনতাইয়ের বিস্তারিত জানা যাবে: আইজিপি

ই-বার্তা: পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ ময়ূরপঙ্খি ছিনতাই চেষ্টার মামলায় জব্দ করা আলামত আদালতের নির্দেশে পরীক্ষার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে। সেখান থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।’

বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সমাবেশ ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলাটির তদন্তভার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে দেয়া হয়েছে। তারা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। তদন্ত কর্মকর্তা বিমানের ক্রু, যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবেন। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অন্যান্য বিষয়গুলো পর্যায়ক্রমে হবে।

এর আগে দুপুরে সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, ছিনতাই চেষ্টার ঘটনা পুরোপুরি জানতে বিমানটির ব্ল্যাক বক্স ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। পলাশ কী কারণে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিলেন, তা জানার জন্য তার পরিবারের সঙ্গেও কথা বলা হবে।

উল্লেখ্য, বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনার পরদিন সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের প্রযুক্তি সহকারী দেবব্রত সরকার বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় কমান্ডো অভিযানে নিহত পলাশ আহমেদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট মামলাটি তদন্ত করছে। মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে সংস্থাটির পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়াকে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৫টা ১৩ মিনিটে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের বিমান বিজি-১৪৭ উড্ডয়নের ১৫ মিনিট পর পলাশ আহমেদ নামে এক যুবক বিমানটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। ৫টা ৪১ মিনিটে বিমানটি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানের ইমার্জেন্সি ডোর দিয়ে যাত্রী ও কেবিন ক্রুদের দ্রুত বের করে আনা হয়। পরে যৌথ বাহিনীর প্যারা কমান্ডো টিমের অভিযানে মারা যান পলাশ আহমেদ।

ই-বার্তা// আরাফাত ইসলাম শুভ