ফিরোজের বিরুদ্ধে বেরিয়ে আসছে ভয়ঙ্কর সব তথ্য

ই-বার্তা ডেস্ক।।  ধানমন্ডির কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ একসময় বিএনপির এক নেতার ক্যাডার ছিলেন। পরে তিনি হন আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন। চার জনকে হত্যা করাসহ তার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য বের হচ্ছে।   

র‌্যাবের করা দুই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গত শনিবার বিকালে ফিরোজকে ঢাকার আদালতে পাঠায় ধানমন্ডি থানা পুলিশ। তিনি দুই মামলায় ৫ দিন করে মোট ১০ দিন রিমান্ডে আছেন।

ধানমন্ডির কলাবাগান ক্লাবের ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণ করতেন শফিকুল আলম ফিরোজ। ফিরোজের ছেলের নাম রচি। বাপ-বেটা দুই জনই এলাকার আতঙ্ক। হাতিরপুলের দি তুর্কি অ্যাসোসিয়েট তার আদম ব্যবসায়ের অফিস। পাওনাদার টাকা চাইলে দুই জনকেই হত্যা করে ফিরোজ।

কলাবাগান এলাকায় আরো দুটি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে ফিরোজের বিরুদ্ধে। গ্রিন রোডে রূপসী কমিউনিটি সেন্টারের পাশে ১২ কাঠার একটি জায়গার মালিক ছিলেন কায়কোবাদ নামে এক ব্যক্তি। ঐ জায়গাটি দখল করে বিক্রি করে দেন ফিরোজ ও তার পুত্র।

২০১৭ সালে ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ছিলেন নামজুল করিম পিংকু। তিনি কলাবাগান থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাকেও হত্যা করা হয়—এমন অভিযোগও এসেছে। প্রতিপক্ষ কাউকেই জীবিত রাখবেন না—এই নীতিতে চলতেন ফিরোজ।

বিএনপির আমলে কলাবাগান এলাকার এক বিএনপি নেতার ক্যাডার ছিলেন শফিকুল আলম ফিরোজ। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ বাগিয়ে নেন তিনি। 

আন্ডারওয়ার্ল্ডের অপরাধীদের একটি গ্রুপ পরিচালনাকারী ফিরোজ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, দখল, হত্যাসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা তিনি করেন না। কলাবাগান এলাকায় তিনি একটি আতঙ্ক।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু