‘বগুড়ায় বিএনপির ভোট বেশি থাকায় ইভিএমের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি’

ই- বার্তা ডেস্ক।।   বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মন্তব্য করেছেন যে, বগুড়ায় ধানের শীষের ভোট বেশি থাকায় সেখানে প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, মধ্যরাতের নির্বাচনের পরও সরকারের ভেতর থেকে শঙ্কা দূরীভূত হচ্ছে না। তারা নিজেদের নিরাপদ মনে করছে না। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে ডিজিটাল দুর্বৃত্তপনার কোনো শেষ নেই।

রিজভী বলেন, মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকার বিশ্বব্যাপী পরিত্যক্ত ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতি নিয়ে আবারও ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তার প্রমাণ বগুড়ায় আসন্ন উপ-নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ইভিএমে ভোট প্রদান প্রক্রিয়া জটিল হওয়ায় অনেকেই ভোট দিতে সক্ষম হয় না। অতীতে দেখা গেছে যে, ইভিএম জটিলতায় দিনভর লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে ভোট দিতে না পেরে ফিরে গেছে।

এসময় তিনি অভিযোগ করেন, বগুড়ায় ধানের শীষের ভোট বেশি থাকায় প্রতিটি কেন্দ্রেই পরিকল্পিতভাবে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন।

রিজভী বলেন, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকলে ইভিএম প্রক্রিয়ায় আরও বেশি জালিয়াতি করা সম্ভব। এর আগে ভোটারের বদলে প্রিজাইডিং অফিসার ইভিএমের বোতাম চেপে ভোট চুরি করেছে। ইভিএমে কোনো পেপার ট্রেইল না থাকায় ভোট দেয়ার কোনো প্রমাণ থাকে না। ভারতের অনেক জায়গায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ হলেও সেখানে সব বিরোধী দল এর তীব্র প্রতিবাদ করেছে, হাইকোর্টে মামলাও আছে। যদিও সে দেশের ইভিএমে পেপার ট্রেইল ছিল। বাংলাদেশে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এর মাধ্যমে দূর থেকেও ভোট ডাকাতি সম্ভব হবে।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বিষয়ে বেশি চর্চা করে, সেটি হলো মিথ্যা ও অসত্য বিবৃতি। মিথ্যা প্রচারে এরা অক্লান্ত ও বিরামহীন। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম, খুন ও হত্যার পরও সরকার সন্তষ্ট হতে না পেরে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কলঙ্ক লেপন করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার করছে। বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুনকে গত পরশু রাতে র‌্যাব বাসা থেকে তুলে নিয়ে অদৃশ্য করে রাখে। ২০ ঘণ্টা পর গতকাল পটুয়াখালী সদর থানায় তাকে হস্তান্তর করে।

ই- বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম