বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের আভাস, আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

ই- বার্তা ডেস্ক।।   বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি এখন ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে যাচ্ছে।

আবহাওয়াবিদরা এমন ধারণার কথাই জানিয়েছেন।

নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ১ নম্বর দূরবর্তী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বুধবার বলেন, গভীর নিম্নচাপটি আজ সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তখন এ ঝড়ের নাম হবে বুলবুল।ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে সতর্ক সংকেতের মাত্রাও বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগরতীরের আট দেশের আবহাওয়া অধিদফতরের নির্ধারণ করে দেয়া তালিকা থেকে ধারাবাহিকভাবে এই অঞ্চলের ঝড়ের নাম দেয়া হয়।

পাকিস্তানের প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে নেয়া হয়েছে বুলবুল নামটি।

এদিকে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি বুধবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে; কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে; মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

ওই সময় নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া ভারতের আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ পেতে পারে। তখন বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ উঠতে পারে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটারের ওপরে।

বৃহস্পতিবার বিকালে আরও শক্তিশালী হয়ে এ ঝড় তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে (সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম) পরিণত হতে পারে। তখন বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।

ভারতীয় আবহাওয়াবিদরা মনে করেন, বর্তমান অবস্থান থেকে পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ১১ নভেম্বর নাগাদ ভারতের উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ হয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।