‘বনিতার চোখেমুখে অদ্ভুত সারল্যটাই আমায় টেনেছিল’
ক্যামেরার সামনে অত্যন্ত স্বচ্ছন্দ বনিতা। সুজিত সরকার বলেন, ‘বনিতার চোখেমুখে অদ্ভুত সারল্যটাই আমায় টেনেছিল।
বনিতা সান্ধুর স্বপ্নটাই বদলে দিলেন সুজিত সরকার। অন্য অভিনেত্রীদের চেয়ে একটু বেশিই গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বনিতাকে। এর পেছনের কারণটা কী?মাউথ ফ্রেশনারের বিজ্ঞাপন। নেহাতই ছোট একটা স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল লন্ডনে অধ্যয়নরত এই মেয়েটি।
নিজেকে মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছেটাই ছিল সব কিছু। এর বাইরে বড়সড় প্রতিষ্ঠার কথা নিজে কখনও ভাবেননি।
কিন্তু ভাগ্যক্রমে বদলে গেল সবকিছুই। সৃষ্টিকর্তা এই নম্র, সুশ্রী মেয়েটির জন্য অন্য কিছু ভেবে রেখেছিলেন!
সুজিত সরকার যখন ‘অক্টোবর’ ছবির কথা ভাবছেন, তখন এই মেয়েটির মুখটিই ভাসছিল তার মনে- যে হবে শরতের শিউলির মতো নরম, সুন্দর।
সুজিত সরকার বলেন, ‘বনিতার চোখেমুখে অদ্ভুত সারল্যটাই আমায় টেনেছিল। আমি চেয়েছিলাম, আমার নায়িকার একটু দক্ষিণ ভারতীয় লুক থাকবে। বড় বড় চোখ। তাই বরুণ আসার আগেই বনিতার কথা আমি ভেবে রেখেছিলাম।’
ছবি শেষ করে স্বয়ং পরিচালকেরই ধারণা, বনিতার মধ্যে এমন এক স্ফুলিঙ্গ আছে যা কোনো অভিনেত্রীদের মধ্যে নেই। বনিতাকে পেলে বলিউড অন্যরকমভাবে ভাবতে শুরু করবে নায়িকাদের।
ক্যামেরার সামনে অত্যন্ত স্বচ্ছন্দ বনিতা। ট্রেলার দেখে এখনই বড় সার্টিফিকেট পেলেন বনিতা। লন্ডনের পড়াশোনা এখনও শেষ হয়নি।
পড়াশুনা শেষ করে অভিনয় জগতেই ক্যারিয়ার গড়বেন কি না তা-ও ঠিক নেই। কিন্তু প্রথম ছবিতে পরিচালকের দেয়া এই অলিখিত সার্টিফিকেটটা তার সারা জীবনের পাথেয় হয়ে থাকবে।