বরিশালে সমাবেশ চলাকালে বিএনপির দুই গ্রুপের হাতাহাতি

ই-বার্তা ডেস্ক।। বরিশাল নগরীতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে যুবদলের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে কিছু সময়ের জন্য বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১২টায় বরিশাল নগরীর সদররোড অশ্বিনী কুমার হল সংলগ্ন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে সমাবেশের শুরুতে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক চান বক্তৃতা করার সময় তার অনুসারীরা স্লোগান দেওয়ার সময় হামলা করে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠুর লোকজন। মিঠু মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারী। পরে সিনিয়র নেতারা মঞ্চ থেকে নেমে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, জিয়াউর রহমান বাকশাল বিলুপ্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাকশাল বিলোপ হওয়ায় আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছে। এখন তারা ওই দিনগুলোর কথা ভুলে গিয়ে জিয়া পরিবার ও বিএনপিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। দেশে আবার বাকশাল ফিরিয়ে আনতে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেশের অবরুদ্ধ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি ।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের বন্ধুরাষ্ট্র ভারত এখন পেঁয়াজ দিচ্ছে না। ফারাক্কার বাঁধ খুলে দিয়েছে। ফেনী নদী থেকে পানি নিয়ে যাচ্ছে। সরকার দিশেহারা হয়ে এখন পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আনছে। তাতে দোষ হচ্ছে না। বিএনপি পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আনলেই দোষ হতো। সভাপতির বক্তব্যে দলের যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, সামনে আন্দোলনের দুটি পথ আছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি কিংবা সরকার পতনের একদফা দাবি। অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া না হলে আমরা দ্বিতীয়টি বেছে নেব।