বল হাতে দিনটা ছিল সাকিব-মুস্তাফিজেরই

ই-বার্তা।।  গতকাল হায়দরাবাদের দেওয়া মাত্র ১১৯ রানের টার্গেটে ৮৭ রানেই শেষ হয়ে যায় মুম্বাইয়ের ইনিংস। এমন লো স্কোরিং ম্যাচেও হায়দরাবাদ ম্যাচ জিতে নেয় ৩১ রানে! এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে এখন শীর্ষ তিনে হায়দরাবাদ।

ম্যাচে মুম্বাই হারলেও বল হাতে আবারও নিজের ঝলক দেখিয়েছেন মুস্তাফিজ। আর সাকিব ব্যাট হাতে উইকেটে নেমে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হন। তবে বল হাতে করেন কিপটে বোলিং।

এর আগে ম্যাচে সানরাইজার্সের বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ে মুস্তাফিজ ছিলেন স্বমহিমায় উজ্জ্বল। দল হারলেও ফিজ তাঁর ঝলক দেখাতে ভুল করেননি। প্রথম ২ ওভারে ২০ রান দেয়ার পরেও ৪ ওভার করার পর তার বোলিং ফিগার ৪-০-২৪-৩!

টি-২০ ক্রিকেটে এমন ফিগার আসলেই দারুণ। আর কাল মুস্তাফিজ যেন ছিলেন আরও চেনারুপে। .৪ ওভারে মুস্তাফিজ ৪.৯০ ইকোনিমিতে ১৮ রানে এক উইকেট নেন। তাঁর বোলিং ফিগার ৩.৪-০-১৮-১।ডট দেন ১২টি!

কিন্তু আবারও ব্যাটসমানদের ব্যর্থতায় ম্যাচটি হেরে যায় মুম্বাই। যা ম্যাচ শেষে মুম্বাইয়ের অধিনায়ক রোহিতের কথাতেও ফুটে ওঠে।

অন্যদিকে সাকিব ব্যাটে বলে কিছু করার আগেই ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন। কিন্তু বোলিংয়ে ছিলেন মুস্তাফিজের মতোই উজ্জ্বল। তিন ওভার বোলিং করে ১৬ রানে নেন এক উইকেট। তাঁর বোলিং ফিগার ৪-০-১৬-১। সাকিব ডট বল দেন ৮টি!

তবে এদিন সাকিব কাঙ্ক্ষিত রেকর্ডটি করে ফেলেন। বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম ওভারেই ইতিহাস গড়ে ফেলেন সাকিব। টি২০ ক্রিকেটে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে স্পর্শ করলেন ৪০০০ রান ও ৩০০ উইকেটের মাইলফলক।

নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই রোহিত শার্মাকে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে স্লিপে ধাওয়ানের ক্যাচে পরিণত করেন সাকিব। আর এই উইকেট নিয়ে রেকর্ডের পাতায় নাম লেখান সাকিব। সাকিবের আগে টি২০ ক্রিকেটে এই কীর্তি আছে কেবল একজনেরই। ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভোর।

তাই সবকিছু বিবেচনায় একটা বিষয় মেনে নিতেই হবে। এবারের আইপিএল একেবারেই অন্য রুপে দুই টাইগার। যেন আগের চেয়ে অনেক আলাদা। আর টাইগার ভক্তদের তো এটাই চাওয়া। প্রতি ম্যাচেই নিজেরাই নিজেদের ছাড়িয়ে যায় সাকিব-মুস্তাফিজ।