বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ঢুকছে না ভারতীয় মাছ ধরার ট্রলার : মৎস্য প্রতিমন্ত্রী

ই- বার্তা ডেস্ক।।   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু দাবি করেছেন যে,  মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় কোনো ভারতীয় মাছ ধরার ট্রলার ঢুকছে না। 

আজ বুধবার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের চতুর্থ দিনের সপ্তম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

কৃষি মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ কার্য অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।

বাংলাদেশে ৬৫ দিন (২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত) সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ আছে, বলা হচ্ছে ভারতের জেলেরা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় অনুপ্রবেশ করে ইলিশ ধরে নিচ্ছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মৎস্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘না, এটা একটি প্রচলিত কথা। আমাদের কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী এবং র্যাব টহল দিচ্ছে, আমরা হেলিকপ্টার দিয়ে টহল দিচ্ছি। কোনো বিদেশি জাহাজ, মাছ ধরার ট্রলার আমাদের সীমানায় এসে ঢুকতে পারছে না। ২৩টির মতো মাছ ধরার ট্রলার আমাদের সীমানায় প্রবেশ করেছিল, আমরা সেগুলো আটকে ফেলেছি। ৫১৩ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। আমাদের এখানে প্রটেকশন দেয়া, কোনোভাবেই তারা ঢুকতে পারছে না।’

মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, ‘আর চোর তো একটু ঢুকতেই পারে, এটা খুব একটা কিছু বলা যায় না। ওদের সীমানায় এসে যদি একটু আমাদের সীমানায় আসে, এটা তারা অনেক সময় বলে- ভুল হয়ে গেছে। আমাদেরও অনেক সময় যায়। এগুলোও বন্ধ। মেজর অ্যাকশন নেওয়ায় তারা আর আসছে না, আমাদের সীমানায় মাছ ধরার জন্য।’

ভারতে যখন মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে একই সময়ে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা যায় কিনা- এ বিষয়ে আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, ‘এটা কাছাকাছি সময়েই। এটা ভৌগোলিক অবস্থানের উপর নির্ভর করবে। যখন কোনো স্থানে শীত অন্য অঞ্চলে গরম। তাই মাছের প্রজনন সময়টা যে সব জায়গায় এক সময় হবে, এটা ঠিক না। প্রজনন সময়ে আমাদের এখানে বন্ধ করা হয়। এটা নিয়ে অনেক গবেষণা করা হয়েছে। আমরা নেদারল্যান্ডস থেকে গবেষণা জাহাজ এনে গবেষণা করেছি। নির্দিষ্ট সময়েই আমরা এটা বন্ধ রাখি।’