বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার পাইলটের মুখে ঘটনার বিবরণ

ই-বার্তা ডেস্ক ।।   ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভাল মাঠ সংলগ্ন মসজিদ আল নূরে স্থানীয় সময় দুপুর পৌণে ২টার দিকে অস্ট্রেলিয়ান ব্রেনটন ট্যারেন্ট বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০জন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।

এ হামলায় পড়তে পারতেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও। সংবাদ সম্মেলনে ৩-৪ মিনিট দেরি হওয়ায় হামলা থেকে বেঁচে যায় ক্রিকেটাররা। তবে ধন্যবাদ দিতে হবে অজ্ঞাত মহিলাকে যিনি কিনা মসজিদে ঢুকার আগে খেলোয়াড়দের সাবধান করে দেন।

হোটেলে ফিরে হামলা সম্পর্কে  বিবরণ দেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট।

তিনি বলেন,। এটা আমরা আসলে কেউই আশা করি না যে কোনো দেশে এমন কিছু হোক। তবে আমর সত্যিই ভাগ্যবান। বাসে আমরা অনেকজন ছিলাম, ১৭ জনের মতো। এর মধ্যে সৌম্য সরকারও ছিল। আমরা সবাই নামাজ পড়তে যাচ্ছিলাম। দুইজন (নাঈম হাসান ও লিটন দাস) শুধুমাত্র হোটেলে ছিল, বাকি সবাই আমাদের সঙ্গেই ছিল।

আমরা খুবই কাছে ছিলাম। মসজিদটা আমাদের চোখের সামনেই ছিল। বাস থেকে পরিষ্কার দেখছিলাম। খুব বেশি হলে ৫০ গজ দূরে ছিলাম। আমরা খুব ভাগ্যবান। আর যদি ৩-৪ মিনিট আগে চলে আসতাম তাহলে হয়তো বড়সড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেত। আমি শুকরিয়া আদায় করতে চাই যে এমন কিছু ঘটেনি।

মনে হচ্ছিলো যেন মুভিতে যেমন দেখি, রক্তাক্ত অবস্থায় মানুষ বের হয়ে আসছে। বেশ কয়েকজন মানুষ বের হতে পেরেছিল। আমরা প্রায় ৮-১০ মিনিট ওভাবেই মাথা নিচু করে বসে ছিলাম। যাতে কোনো কারণে যদি গুলি বাসকে লক্ষ্য করেও করা হয়, আমাদের যেনো না লাগে। পরে যখন বুঝলাম যে অস্ত্রধারীরা যদি বাইরে এসে এলোপাথাড়ি গুলি শুরু করে, তখন বাসের মধ্যে একসঙ্গে অনেককে পাওয়া যাবে,। তাই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম যে পেছন দিক দিয়ে যে গেট আছে, সবাই গেট দিয়ে বের হয়ে যাবো।

তারপর আমরা পার্কের মধ্য দিয়ে হেঁটে-দৌড়িয়ে চলে গেলাম ড্রেসিংরুমের ভেতরে। এরপর বেশ কিছুক্ষণ আমরা ড্রেসিংরুমের মধ্যেই ছিলাম। আলোচনা হচ্ছিলো কীভাবে আমরা এখান থেকে বেরিয়ে যেতে পারি। পরে হতেলে আসি। 

সবকিছু মিলিয়ে, আমাদের দলের সবাই এখন হোটেলে আছে। সবাই ভালো আছে, সুস্থ্য আছে।

ই-বার্তা / শাহাদাত ছৈয়াল