বাংলাদেশ ব্যাংকের বইয়ে ইতিহাস বিকৃতি; ক্ষমা চাইলেন শুভঙ্কর সাহা

ই- বার্তা ডেস্ক।।  ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ বইয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি না ছাপিয়ে ইতিহাস বিকৃতির ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন বইটির সম্পাদক শুভঙ্কর সাহা ।

আজ মঙ্গলবার তলবে হাজির হয়ে ‘বিকৃতির’ দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেও হাইকোর্ট এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি। প্রকাশিত ওই বইগুলো কী করা হয়েছে, তা হলফনামা আকারে বিস্তারিত জানানোর নির্দেশ দিয়ে ৯ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির জন্য রেখেছেন আদালত। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আজিজ উল্লাহ ইমন ও শুভঙ্কর সাহার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যোবায়ের রহমান।

এই বিষয়ে আইনজীবী আজিজ উল্লাহ ইমন পরে সাংবাদিকদের বলেন, এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক আভ্যন্তরীণ নোটিশ দিয়ে প্রকাশিত বইয়ের সব কপি তুলে নিয়েছে। আর নতুনভাবে প্রকাশিত বইয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালত ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ বইয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি না ছাপিয়ে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ও পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খানের ছবি ছাপানোর ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহাকে তলব করে।

সেই সঙ্গে ইতিহাস বিকৃতি ‘অমার্জনীয় অপরাধ’ মন্তব্য করে আদালত বইটির সব পুরনো কপি বাজার থেকে তুলে নিতে বলেছিলেন। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার হাইকোর্টে হাজির হয়ে ইতিহাস বিকৃতির দায় স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চান শুভঙ্কর সাহা।

শুভঙ্কর সাহা আদালতকে বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস বই প্রকাশে একটি টিম দায়িত্বে ছিলেন। আমরা বইয়ে বঙ্গবন্ধুর অবদান, সাতই মার্চের ভাষণ, স্বাধীনতার ঘোষণা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা- এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক রিলেটেড বঙ্গবন্ধুর কোনো ছবি না পাওয়ায় বইয়ে বঙ্গবন্ধুর কোনো ছবি দেয়া হয়নি। এ জন্য আমি আদালতের কাছে পুরো টিমের পক্ষে ক্ষমা চাইছি।

ই- বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম