বাসচাপায় মিম-রাজীবের মৃত্যু: ২ চালক ও ১ সহকারীর যাবজ্জীবন

ই-বার্তা ডেস্ক।। বাসচাপায় রাজধানীর কুর্মিটোলায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে দায়ের করা মামলায় দুই বাসচালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং চালকের সহকারী কাজী আসাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও অপর ২ আসামি বাস মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও চালকের আরেক সহকারী এনায়েত হোসেনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রোববার বিকেলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এই রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে গত ১৪ নভেম্বর উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন জজ কেএম ইমরুল কায়েশ।

২০১৮ সালের ২৯ জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের ঢালে রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর তুলে দেয়। এতে ৯ জন ছাত্রছাত্রী গুরুতর আহত হয়। তাদের মধ্যে রমিজ উদ্দিন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজীব বাসের নিচে পিষ্ট হয়ে মারা যায়। ঘটনার রাতেই নিহত দিয়ার বাবা দূরপাল্লার বাসচালক জাহাঙ্গীর আলম ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। এর পর সারাদেশে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়। এক সপ্তাহ পর সরকারের আশ্বাসে ঢাকার সড়ক শান্ত হয়।

২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। বাংলাদেশ দণ্ড বিধির ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৪ ও ৩৪ ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। ৩০৪ ধারা অনুযায়ী খুন বলে গণ্য নয়, এরূপ নরহত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এর পর ২৫ অক্টোবর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।