বাস্তবতায় বলছি, অনিয়ম হবে না নিশ্চয়তা দিতে পারি না: সিইসি

ই-বার্তা।। বাংলাদেশের ‘বাস্তবতায়’ জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম ‘একেবারেই হবে না’এমন নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব হবে না বলে নিজের আগের অবস্থানেই অটল রয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।

 

তিনি জানান, নভেম্বরের শুরুতে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল হতে পারে। এ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিশ্চিত করা গেলে অনিয়মও প্রতিরোধ হবে বলে তিনি মনে করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারের বরাতে শুক্রবার এ কথা জানিয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সিইসি বলেন, সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্র, প্রায় ৩ লাখ ভোটকক্ষ- এত বড় নির্বাচনে কোথাও অনিয়ম হবে না- এমন কথা বললেও মিথ্যা কথা বলা হবে। আমি বাস্তবতার কথা বলছি; অনিয়ম হবে না- এমন নিশ্চয়তা আমি তো দিতে পারি না।

 

সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। তবে এর আগে আর কোনো সংলাপ করা হবে না বলে জানিয়েছেন সিইসি। ভোটের তারিখ নির্ধারণ করার বিষয়ে সিইসি বলেন, অক্টোবর থেকে তো সময় শুরু হবে। নভেম্বরের শুরুতে তফসিল দেয়া হতে পারে। শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা, বিশ্ব ইজতেমাসহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আমরা বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেব।সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাঁচ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। গত বুধবার সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, বড় নির্বাচনে অনিয়ম হবে না- এমন নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব নয়।

 

কোনো নির্বাচনে যদি অনিয়ম হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়।এমন বক্তব্যে সমালোচনা তৈরি হলেও সিইসি মনে করেন, নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে তার বক্তব্যের কারণে জনমনে শঙ্কা তৈরি হওয়ারও কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইন শৃঙ্খলাবাহিনী থাকবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আমাদের যা যা ব্যবস্থা নেয়ার তা নেব আমরা।তিনি আরও বলেন, আশা করি সংসদ নির্বাচন প্রতিযোগতামূলক হবে। কেউ যদি মাঠেই না থাকে তাহলে তো যারা মাঠে থাকে তাদের অবস্থান বেশি দেখা যায়। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা যত বেশি শক্তভাবে মাঠে থাকবে, উপস্থিতি থাকবে; অনিয়ম প্রতিরোধ করবে তারাই।

 

 

ই-বার্তা/ডেস্ক রিপোর্ট