বাড়ছে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য, শীর্ষে পরিবহন খাত

ই-বার্তা ডেস্ক।।  পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি যেন নিত্যদিনের অঘোষিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।  রাজধানীর প্রায় শতাধিক পয়েন্টে হরহামেশায় চলছে  চাঁদাবাজি।  একশ্রেণির অসৎ পরিবহন শ্রমিক, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের  দ্বারা নিয়ন্ত্রিত  চাঁদাবাজ চক্র।

রাস্তা ক্লিয়ার ফি, ঘাট ও টার্মিনাল সিরিয়াল, পার্কিং ফি নামের চাঁদাবাজি পরিবহন খাতের নিয়তির লিখন হয়ে দাঁড়িয়েছে।  তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, দিনরাত চাঁদা আদায়ের দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন বাহিনীর হাতে।  চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে থাকছে অসহায় ২০ লাখ পরিবহন শ্রমিক। তারা জানান, চাকা ঘুরলেই চলে টাকার ছড়াছড়ি। টার্মিনাল থেকে গাড়ি বের হওয়ার আগেই একেকটি গাড়িকে জিপি  চাঁদা পরিশোধ করতে হয়।  যেটি আদায় করে লাঠি বাহিনী।  টার্মিনাল মুখেই আবার দিতে হয় ‘কাঙালি চাঁদা’। এরপর লাইনম্যানের টোল, টার্মিনালের টোল, কেন্দ্রীয় ফেডারেশনের নামে টোল , মালিক সমিতি নামে  টোল এরকম আরো বিভিন্ন নামে চাদা আদায় হয় ।  গাবতলী থেকে যাতায়াত করা ১৫১টি রুটের কয়েক হাজার যানবাহনকেও অভিন্ন চাঁদা পরিশোধ করতে হয়।  একই স্টাইলে চাঁদাবাজি চলে মহাখালী আন্তজেলা বাস টার্মিনালেও।

বাদ যায় না  দূরপাল্লার কোচ ।  দূরপাল্লার কোচ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় হয় আর লোকাল সার্ভিসের প্রতিটি গাড়ি থেকে ট্রিপে আদায় হয় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা।  বৈধ-অবৈধ সব মিলিয়ে প্রায় ৯৩২ সংগঠনের চাঁদাবাজি চলে ।  এমনকি ট্রাক থেকেই দৈনিক কোটি টাকাড় বেশি চাঁদা আদায় হয়।

ঢাকার বাইরের  অবস্থা আরো বেশি খারাপ।  এই  সেক্টরে চাঁদাবাজিতে ঢাকার পরেই আছে  উত্তরাঞ্চলের রাজধানী হিসেবে পরিচিত বগুড়া। ওই শহরের বুকের ওপর দিয়েই উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার যানবাহন চলাচল করে।  যেখান থেকে আদায়কৃত চাদা ঢাকায় মন্ত্রীর কাছেও যায় ।  বগুড়া শহর এলাকায় সিএনজি রাস্তায় নামাতে গেলেই মালিক সমিতিকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ভর্তি হতে হয়।  এরপর প্রতিদিন সমিতিকে ৫৫ টাকা পরিশোধ করতে হয়। তাছাড়াও নাম জানা , না জানা বিভিন্ন খাতের নাম করেও চলে চাদাবাজি।  এসব চাঁদার টাকার ভাগ থেকে পুলিশ বাদ যাচ্ছে না। পুলিশকে ম্যানেজ করেই সমিতিগুলো বছরের পর বছর ধরে চাঁদা আদায় করছে ।

ই- বার্তা / আরমান হোসেন পার্থ