বাড়তি ভাড়া নিলে যানবাহনের নিবন্ধন ও রুট পারমিট বাতিলের নির্দেশ

গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যানবাহনের নিবন্ধন এবং রুট পারমিট বাতিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এর আগে যদিও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বেশ কয়েকবার অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের জন্য যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছিলেন তবুও, কয়েকটি পরিবহনের বিরুদ্ধে এখনো বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

দীর্ঘ সাধারণ ছুটি শেষে গণপরিবহন পুনরায় চালু করার নয় দিন পর এ বিষয়ে নির্দেশনা দিলো মন্ত্রণালয়।

গণপরিবহনে ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশ যাত্রী তোলা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে সরকার ১ জুন থেকে ৬০ শতাংশ বাস ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায়।

মন্ত্রণালয়ের আজকের নির্দেশনায় বলা হয়, সরকার করোনা মহামারীর মধ্যে সীমিত আকারে গণপরিবহন পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু, কিছু বাস অপারেটর যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানছে না বলে পত্রিকায় প্রতিবেদন আসছে।

এই পরিস্থিতিতে, নির্দেশনা অমান্যকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুসারে সেগুলোর নিবন্ধন ও রুট পারমিট বাতিল করতে বলা হয়।

বিআরটিএর উপপরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক জানান, ১ জুন থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সাত থেকে আটটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। আজ ৩৪টি মামলায় ২৮,৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের জন্য বাসচালক ও মালিকদের বিরুদ্ধে এ সব মামলা হয় বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘তারা মাস্ক ব্যবহার করেনি এবং যানবাহনকেও জীবাণুমুক্ত করেনি।’

তবে, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ খুব কম ছিল বলে তিনি জানান।

যোগাযোগ করা হলে বিআরটিএ-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইউসুব আলী মোল্লা বলেন, ‘আমি এ নির্দেশনার কথা জেনেছি। তবে, এখনও চিঠি পাইনি।’

তিনি বলেন, ‘চিঠি পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হবে।’

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থাকে তারা সমর্থন করবেন।