বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা

ই-বার্তা ডেস্ক।।  বায়ুদূষণে বিপজ্জনক সীমা ছুঁয়ে দিল্লিকেও ছাড়িয়ে গেছে রাজধানী ঢাকা। বিশ্বের বিভিন্ন শহরের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও খারাপ পরিস্থিতিতে উপনীত হয়েছে বাংলাদেশ।  ঢাকায় বাতাসের মান অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ।  

গত দুই মাসে মাত্র ১৯ ঘণ্টা ভালো বায়ু সেবন করেছে রাজধানীবাসী। ইউএস এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (ইউএস একিউআই) অনুসারে র‌্যাংকিং করে এয়ার ভিজ্যুয়াল। এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয় বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা পিএম ২ দশমিক ৫-এর মাত্রাকে। বাতাসে ২ দশমিক ৫ মাইক্রনের ছোট দূষিত বস্তুকণার উপস্থিতি পরিবেশে ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। মানুষের শ্বাস প্রক্রিয়া আক্রান্ত করে মৃত্যু ঝুঁকি সৃষ্টি করছে পিএম ২ দশমিক ৫। 

বায়ুদূষণে ঢাকার পরই রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও মঙ্গোলিয়ার উলানবাটোর শহরের অবস্থান। এর মধ্যে দিল্লির স্কোর ২১১, লাহোর ও উলানবাটোরের ১৯৮। যখন কোনো শহরে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকে, তখন ঐ এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি লক্ষ্য করা যায়। 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন গতকাল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ঢাকা সিটিতে বায়ুদূষণের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। অবস্থা সংকটাপন্ন। গতকাল সোমবার বিকালে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকার বায়ু ও শব্দদূষণ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে মন্ত্রী বলেন, মূলত তিন কারণে ঢাকাসহ সারাদেশে বায়ুদূষণের অসহনীয় মাত্রা বাড়ছে। সেগুলো হলো—ইটভাটা, মোটরযানের কালো ধোঁয়া এবং যথেচ্ছ নির্মাণকাজ।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট এবং ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, বায়ুতে যেসব ক্ষতিকর উপাদান আছে, তার মধ্যে মানবদেহের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক পিএম ২ দশমিক ৫ উপাদান সবচেয়ে বেশি নির্গত করত চীন। গত দুই বছরে চীনকে টপকে ঐ দূষণকারী স্থানটি দখল করে নেয় ভারত।

এখন ভারতকে টপকে এক নম্বরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে জাপানের টোকিও শহর। প্রতিবেদনটিতে মূলত কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বায়ুদূষণের পরিমাণ পরিমাপ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু