বিএনপিনেতারা সরকারকে অগণতান্ত্রিক ভাষায় কথা বলেও বলছে গণতন্ত্র নেইঃওবায়দুল কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট।।  বিএনপি নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক ভাষায় কথা বলেও তারা বলছে দেশে গণতন্ত্র নেই  বলে জানান,আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার বিকেলে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, আজকে আমার অনেক প্রশংসা করা হচ্ছে,মূল্যায়ন হবে আগামী নির্বাচনে। আওয়ামী লীগ না জিতলে সকল প্রশংসা গালিতে পরিণত হবে।তিনি বলেন, বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্র না থাকতো, তাহলে বিএনপির নেতারা প্রকাশ্যে অগণতান্ত্রিক, অশ্রাব্য ভাষায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে গালিগালাজ করতে পারতো না। এসব অশ্রাব্য মিথ্যাচার করার পরও পল্টন অফিসের সাংবাদিক সম্মেলন বন্ধ করেনি, পুলিশ হস্তক্ষেপ করেনি।তিনি বলেন, তারা যেখানে ইচ্ছা বক্তব্য দিচ্ছেন। টকশোতে গিয়ে তাদের নেতারা যে ভাষা ব্যবহার করেন, এখানে আমরা বিরোধী দলে থাকলে টকশো করার পর তারা রাস্তায় আটকাতো। আমরা তা পারি না। তারা স্বাধীনভাবে কথা বলছেন, তারপরও তারা বলছেন দেশে গণতন্ত্র নাই।যুবলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, রাজনীতিতে লেগে থাকুন, পরিশ্রম করুন, দলের জন্য কষ্ট করুন, ত্যাগ করুন তা বৃথা যাবে না। শেখ হাসিনা যতদিন আছে, ত্যাগী কর্মীদেরও ততদিন মূল্যায়ন আছে। কেউ দুইদিন আগে পাই, কেউ দুদিন পরে পাই।হতাশার কিছু নেই। আমাকে দিয়েই চিন্তা করুন। জেল খেটেছি, ত্যাগ করেছি তার মূল্যায়ন তিনি (শেখ হাসিনা) করেছেন। শেখ হাসিনা না থাকলে আমি দলের সাধারণ সম্পাদক হতাম কি-না জানা নেই। শেখ হাসিনা থাকলে এ দলে মূল্যায়ন হবে।ওবায়দুল কাদের বলেন, এজন্য শেখ হাসিনাকে আমরা শ্রদ্ধা করি, হৃদয় থেকে ভালোবাসি। জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী যুবলীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা কি চান, আমরা এমন কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দিই যিনি উইনেবল ও গ্রহণযোগ্য নন। জেতার মতো পজিশনে নেই। সব জনমত জরিপ শেখ হাসিনার কাছে জমা আছে। আপনাদের মধ্যে কেউ যদি নির্বাচনের জেতার মতো যোগ্যতা অর্জন করলে বঞ্চিত হবে না।

 

যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শহীদ সেরনিবায়াত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, ফজলুল হক আতিক, যুব নেতা কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাঈল হোসেন চৌধুরী সম্রাট প্রমুখ।

 

 

ই-বার্তা।।ডেস্ক