বিএনপির দেওয়া শর্তে নির্বাচন হবে না

রাজনীতি ডেস্ক ।।  বিএনপির দেয়া কোনো শর্ত মেনে নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

 

২২ জুলাই, রবিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির দেওয়া কোনো শর্ত মেনে দেশে নির্বাচন হবে না। সংবিধানের বিধান অনুসারেই নির্বাচন হবে। বিএনপি একেক সময় একেক কথা বলে। এক সময় বলে, খালেদা জিয়াকে ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। এখন বলছে, নির্বাচন তারা প্রতিহত করবে। তাদের এ ঘোষণার মধ্যে চক্রান্ত ও সহিংসতার একটি গন্ধ আছে। এখানে নাশকতার আশঙ্কা করছি আমরা।’একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে নতুন করে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেন ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। সে বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সংলাপ তো হয়েছে। সংলাপ করেছে ইলেকশন কমিশন। সেখানে বিএনপি অংশ নিয়েছে। তবে ইলেকশন কমিশন আর সংলাপ করবে কি না সেটা জানি না।’এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রয়োজন অনুভব করছেন না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে আমরা কোনো সংলাপের প্রয়োজন অনুভব করছি না। দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি নেই যেটার জন্য সংলাপ করতে হবে। ইলেকশন কমিশন কোনো সংলাপ করতে চাইলে আর বিএনপিকে যদি সেখানে আমন্ত্রণ জানায় তাহলে তারা সেখানে অংশ নিতে পারে।’

 

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারে আন্দোলনরতদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা এবং শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোটা সংস্কারের যে আন্দোলন, এ আন্দোলনে ছাত্রলীগের নামে আমরা কিছু বাড়াবাড়ির অভিযোগ পেয়েছি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমাদের সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কারভাবে আমার সামনে নেতাদের বলেছেন, ছাত্রলীগের নামে যেন তিনি কোনো বাড়াবাড়ির অভিযোগ আর না পান। পরিষ্কারভাবে তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, যাতে ছাত্রলীগের নামে বাড়াবাড়ির কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে না আসে।’যদিও এর আগে ১৫ জুলাই এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারী কারা সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। সেখানে ছাত্রলীগের হামলার বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখুন, ছাত্রলীগের এখন কমিটি নাই। ছাত্রলীগের সম্মেলনের পর এখনও কমিটি ঘোষিত হয়নি। ছাত্রলীগের নামে কি কেউ কিছু করেছে এখানে এটা আমাকে জেনে বলতে হবে। আমি শিওর না। ছাত্রলীগ নামধারী আছে কি না সেটা আমাদের দেখতে হবে।’

 

 

ই-বার্তা ।। ডেস্ক