বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণে তারেক রহমান

ই-বার্তা ডেস্ক ।।   সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণে ও তার উপস্থিতি নিয়ে দলের মধ্য নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

এভাবে সাক্ষাৎকার গ্রহণে দণ্ডিত একজন ব্যক্তির উপস্থিত থাকা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন বলেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দলের ভাইস চেয়ারম্যানের মনোনয়ন বোর্ডে হাজির থাকা, না থাকা একান্ত দলীয় বিষয়।এতে কিছু করার নেই কমিশনের।

 

একাটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে আলোচকরা এ বিষয়টি নিয়ে দুই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।  টকশোতে বিএনপি নেতা এডভোকেট আহমদ আযম খান বলেন, তড়িগড়ি করে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজানো মামলায় ফরমায়েশি রায় দেয়া হয়েছে।আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ করা হচ্ছে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে ।

 

বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডে প্রার্থীদেরকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- টিকে থাকতে পারবেন তো? জয় পরাজয়ের চেয়ে কি এখন বিএনপির কাছে টিকে থাকাই মূখ্য হয়ে ওঠেছে। এমন প্রশ্নে জবাবে আহমদ আযন খান বলেন, দেশে যখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করে না, অস্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখা দেয়, ‘তখন নেতা এবং কর্মীদের কাছে এই প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দেয়। এত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও এবং ৭ দফার কোনো একটি দাবি না মানার পরও বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে’।

 

সরকার নিপীড়ন ও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে এরপরও।পুলিশ হামলা চালালো সেদিন মনোনয়ন নিতে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের ওপর ।বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রামে গ্রামে তালিকা করে গ্রেফতার করা হচ্ছে, যাতে তারা নির্বাচনে এজেন্ট হতে না পারে।নির্বাচন কমিশনে ফোন করছে পুলিশ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক পরিচয় জানতে ।

 

নুহ উল আলম লেনিন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন,দুটি মামলায় দণ্ডিত তারেক রহমান।  ফৌজদারি মামলায় দণ্ড হয়েছে তার বিরুদ্ধে।তিনি পলাতক আছেন আদালতের সামনে
হাজির না হয়ে।সবধরনের কলকাটি নাড়ছেন।তারেক দেশে ফিরে আসতেন যদি প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও সৎ হত।

 

সচিবালয়ে মন্ত্রীর রাজনৈতিক আলাপ নির্বাচনী আচরণ লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে কিনা।নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, ওবায়দুল কাদের একই সাথে মন্ত্রী এবং দলের সাধারণ সম্পাদক।  দুটি আলাদা টুপি পরে আছেন তিনি। ফলে একটি টুপি পরে থাকাবস্থায় অন্য বিষয়ে কথা বললে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রশ্ন উঠবে।

 

আওয়ামী লীগ বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে তারেকের এই ভূমিকা নিয়ে। বিএনপি তো তাকে নেতা হিসেবে রেখেছে দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে। তারেককে মনোনয়ন বোর্ডে রাখার বিষয়টি আচরণবিধির লঙ্ঘন কিনা সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনই সিদ্ধান্ত দিতে পারবে। তবে আমি মনে করিনা এ নিয়ে আওয়ামী লীগের উদ্বিগ্ন হওয়া কিছু আছে।

 

আওয়ামী লীগ নেতা নুহ আলম লেলিন এ সম্পর্কে বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্ব হাইকোর্ট গ্রহণ করেনি। কাজেই নির্বাচনের মনোনয়ন বোর্ডে তার থাকার কোনো সুযাগ নেই। এটা আচরণবিধির
লঙ্ঘন।

 

 

 

 

ই-বার্তা / ডেস্ক