বিক্ষোভের মুখে পুতিনের কাছে উড়ে গেলেন লুকাশেঙ্কো

বিক্ষোভের মুখে পড়ে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো উড়ে গেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে।নির্বাচনে ভোটচুরির অভিযোগে লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগের দাবিতে টানা পাঁচ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ করে আসছে দেশটির জনগণ।

আলজাজিরা জানায়, সোমবার সকালে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সোচিতে অবতরণ করে লুকাশেঙ্কোর বিমান।আগের দিনও বড় ধরনের বিক্ষোভ হয় বেলারুশের বিভিন্ন শহরে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনী শক্তি প্রয়োগ করে।

এদিন গ্রেপ্তার করা হয় ৭৭৪ জন আন্দোলনকারীকে, যাদের মধ্যে ৫০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজধানী মিনস্কের বিক্ষোভ থেকে। রবিবার লক্ষাধিক মানুষের স্রোত নামে শহরটিতে।

শুরু থেকে লুকাশেঙ্কোকে একচ্ছত্র সমর্থন দিয়ে আসছে রাশিয়া। প্রয়োজনে বেলারুশে হস্তক্ষেপ চালাতে রুশ সেনা প্রস্তুত আছে বলেও ঘোষণা দেন পুতিন।

তবে ৯ সেপ্টেম্বর বিতর্কিত নির্বাচনের পর এ প্রথম সামনাসামনি আলোচনায় দুই রাষ্ট্রপ্রধান। লুকাশেঙ্কো ও পুতিনের বৈঠকের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে বেলারুশের পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি।

ক্রেমলিন জানায়, জ্বালানি, বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কসহ দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারত্ব নিয়ে যৌথভাবে বক্তব্য দেবেন লুকাশেঙ্কো ও পুতিন।

১৯৯২ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বেলারুশ। এর মাত্র দুই বছর পর দেশটির ক্ষমতায় আসেন লুকাশেঙ্কো। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৬ বছর ধরে দেশের ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রেখেছেন তিনি। তাকে বলা হয় ইউরোপের শেষ স্বৈরাচার।

তবে এবারের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে শুরু হওয়া বিক্ষোভে ভিত নড়ে উঠেছে লুকাশেঙ্কোর শাসনের। বিক্ষোভ দমনে ইতিমধ্যে এক সরকারবিরোধী নেত্রীকে অপহরণ করে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী সভেতলানা তিখানোভস্কায়া গ্রেপ্তারের হুমকির মুখে আশ্রয় নিয়েছে লিথুয়ানিয়ায়।