বিচারবহির্ভূত হত্যা শুরু জিয়াউর রহমানের আমলে: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বিচারবহির্ভূত হত্যা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বুধবার তিনি সংসদে বলেছেন, জিয়াউর রহমানের শুরু করা এবং তার স্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের উত্তরাধিকার বন্ধে সরকার অপরাধে জড়িত কাউকে ছাড় দেবে না।

তিনি বলেন, ‘আপনারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কথা বলছেন। কিন্তু এটা কে শুরু করেছিল? এটি শুরু হয়েছিল জিয়াউর রহমানের আমলে। তখন আমাদের অনেক নেতাকর্মীর লাশ পাওয়া যায়নি এবং এরপরে, এটি (বিচারবহির্ভূত হত্যা) প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে (খালেদা জিয়ার আমলে)। আমরা এর ধারাবাহিকতা বন্ধ করার চেষ্টা করছি।’

তার সরকার (এ জাতীয়) অপরাধের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দিচ্ছে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না (বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডে জড়িত) এবং আমরা কখনোই তা করব না।’

একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন।

বুধবার সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশন শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সমালোচনা করার ক্ষেত্রে সবাইকে বাস্তবববাদী ও গঠনমূলক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা মাদক, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। মনে রাখতে হবে তারা (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) যেন এ কাজে তাদের উদ্যম হারিয়ে না ফেলে।

তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে আমাদেরও ভাবতে হবে যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাদক, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে এবং তারা এ ক্ষেত্রে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমালোচনা ভালো তবে এটি মনে রাখা উচিত যে যারা জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করে চলেছেন এবং যে কোনো বিপদে মানুষ যাদের কাছে ছুটে আসছে তারা যেন আগ্রহ হারিয়ে না ফেলে।

সামগ্রিক উন্নয়ন এবং মানুষের জীবনের ওপর কোভিড-১৯ এর আক্রমণ রুখতে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, বিশ্বে করোনাভাইরাস নিরাময়ে যে টিকা প্রথম আসবে, তার সরকার সেটি ব্যবহারে প্রস্তুত রয়েছে।