বিদ্যাসাগর মূর্তি ভাঙচুরকারীদের পুরস্কৃত করেছে নির্বাচন কমিশনঃ মমতা

ই-বার্তা ডেস্ক।।  বিজেপির নির্দেশে বাংলার গণতন্ত্রকে লুট করছে নির্বাচন কমিশন।  এই পরিকল্পিত প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত করব না— রাজ্যে প্রচারপর্ব ছাঁটার নির্দেশ আসার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা করে বিজেপিকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পুরস্কার দেওয়া হল।’’ 

বুধবার রাত ন’টায় কালীঘাটের বাড়িতে জরুরি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন মমতা।  সেখানে তিনি বলেন, ‘‘এমন অসাংবিধানিক অনৈতিক ও রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন আগে কখনও দেখিনি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার কোনও রকম অবনতি হয়নি।  ভোটের সময় যেটুকু গন্ডগোল হয়েছে তা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্যই হয়েছে।’’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের নির্দেশে কমিশন বাংলায় এই সিদ্ধান্ত বলবৎ করল বলে অভিযোগ করেছেন মমতা।  তাঁর মন্তব্য, ‘‘এ ভাবে কি কমিশন বিজেপিকে জেতাতে পারবে? এত অসম্মানিত কোনও দিনও হইনি।  সুবিচারের আশায় গণতন্ত্র আজ কাঁদছে।  আমি সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারতাম।  কিন্তু আপাতত জনাদেশের উপর ভরসা রাখছি।  মানুষই যোগ্য জবাব দেবে। ভোট মিটে গেলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবব।’’

এ দিনই মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে দু’পাতার কড়া চিঠি পাঠিয়ে তাঁর ক্ষোভ লিখিত ভাবে জানান মমতা। এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে, এমন অভিযোগও তিনি ওই চিঠিতে সরাসরি উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘‘কমিশনের এই সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী।  কারণ, প্রার্থীদের নিজেদের কথা বলা এবং মানুষের সে সব কথার নির্ধারিত যে সময়সূচি রয়েছে, তা থেকে বঞ্চিত করা হল।  এটা কখনই গণতন্ত্রসম্মত নয়।’’

উত্তর কলকাতায় মঙ্গলবার শাহ’র মিছিলের শেষলগ্নে বিদ্যাসাগর কলেজে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙাকে কেন্দ্র করে যে গোলমাল ঘটেছিল, সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতা অভিযোগ করেন, ‘‘অমিত শাহ কলকাতায় এসেছিলেন দাঙ্গা করতে।  হামলা করে গেলেন। তাঁকে শোকজ করা হল না কেন? রাজ্যে তো মোদী, শাহ-সহ বিজেপি নেতারা একের পর এক সভা করেছেন।  কোথাও তাঁদের উপর কোনও রকম হামলা হয়েছে?’’

বিদ্যাসাগর কলেজের ঘটনার পরে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং বহিরাগত হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে। মঙ্গলবার রাত থেকেই ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। 

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু