বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখতে পারছে না থাই ক্ষুদে ফূটবলাররা

ই-বার্তা।।  থাইল্যান্ডের থাম লুয়াং গুহায় আটকে পড়া ফুটবল দলের ১২ সদস্য, তাদের কোচসহ সবাইকে মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয়েছে। গত রবি ও সোমবার চারজন করে আটজনকে উদ্ধারের পর মঙ্গলবার বাকি পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়। তবে ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রাশিয়ার মস্কোতে ১৫ জুলাই অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলা দেখার জন্য যেতে পারছে না তারা। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তারা সুস্থ থাকলেও রাশিয়া যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থায় নেই।

 

এই কিশোরদের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন ব্রাজিলের সাবেক তারকা ফুটবলার রোনালদো, ইংল্যান্ডের জন স্টোনস ও আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি।কিশোরের দল ফুটবল খেলা দেখতে যেতে পারবে কি না, এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব জেসাদা চকেডামরংসুক বলেন, ‘তারা যেতে পারবে না। তাদের আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। তারা টেলিভিশনের পর্দায় খেলাটি দেখতে পারে।’ গুহা থেকে পাঠানো চিঠিতে ১২ কিশোর তাদের বেশি বেশি বাড়ির কাজ না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল শিক্ষকদের প্রতি। শিক্ষকেরা সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষা দিতে হবে না এই কিশোরদের। মায়ে সাই প্রাসিতসার্ট স্কুলের পরিচালক জানিয়েছেন, তাদের জন্য কাউন্সেলিংয়ের আয়োজন করবে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

 

গত ২৩ জুন থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় চিয়াং রাই এলাকার থাম লুয়াং গুহায় বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ১২ খুদে ফুটবলার ও তাদের কোচ। ১২ কিশোরের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। তাদের সহকারী কোচ এক্কাপোল জানথাওংয়ের বয়স ২৫ বছর। তারা ওয়াইল্ড বিয়ার্স বা মু পা নামের একটি ফুটবল দলের সদস্য। নয় দিন গুহার ভেতরে আটকে থাকার পর ২ জুলাই ব্রিটিশ ডুবুরি রিচার্ড স্ট্যানটন ও জন ভলানথেন তাদের সন্ধান পান। অবস্থান জানার পর ১২ কিশোর ও তাদের কোচের জন্য গুহার ভেতরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করার পাশাপাশি পাঠানো হয় খাবার ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। তবে গত বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরদের কাছে অক্সিজেনের সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে প্রাণ হারান থাই নৌবাহিনীর সাবেক ডুবুরি সামান কুনান। ৭ জুলাই অস্ট্রেলিয়ার এক চিকিৎসক গুহায় ঢুকে কোচ ও কিশোরদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে উদ্ধার অভিযান শুরুর সবুজসংকেত দেন। তাদের অবস্থানস্থলে যাওয়ার জন্য ওই পাহাড়ে শতাধিক গর্ত করা হয়। তবে সেখানে কিশোরদের না পেয়ে আগের পরিকল্পনামতো ডুব সাঁতার দিয়ে তাদের উদ্ধারে চূড়ান্ত অভিযান শুরু হয় ৮ জুলাই। প্রথম দিন চারজন ও দ্বিতীয় দিন চারজন আর মঙ্গলবার চার কিশোরসহ তাদের কোচকে উদ্ধার করা হয়।