বেশি দামেও মিলছে না বাসের কাঙ্ক্ষিত টিকিট

ই- বার্তা ডেস্ক।।  রাজধানীর বিভিন্ন বাস কাউন্টারে ঈদুল ফিতর সামনে রেখে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর প্রথম দিনেই সংকট দেখা দিয়েছে।

যাত্রীরা ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও পাননি কাঙ্ক্ষিত টিকিট। যারা টিকিট পেয়েছেন তারা বাড়তি দাম দিয়ে টিকিট ক্রয় করেছেন বলে জানিয়েছেন।

যাত্রীদের অভিযোগ, চড়া দামে টিকিট বিক্রি করতেই কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে। কাউন্টার থেকে অল্প সংখ্যক টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। তবে কাউন্টারম্যানরা বলছেন, অধিকাংশ যাত্রীর চাহিদা ৩০ মে ও ৩ জুনের টিকিট। এ কারণে ওই ২ দিনের টিকিট দ্রুতই বিক্রি হয়ে গেছে।

গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীর গাবতলী, মাজার রোড, কল্যাণপুর, শ্যামলী ও মহাখালীসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টারে ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়ে। বিভিন্ন কাউন্টারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়েরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। সকালে গাবতলী হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে যাত্রীদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়।

পঞ্চগড় যাওয়ার জন্য ২ জুনের একটি টিকিট কিনেছেন আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ৩ জুনের টিকিট চেয়ে ২ জুনের টিকিট পেয়েছি। পঞ্চগড়ের ভাড়া ৬৫০ টাকা হলেও তার কাছ থেকে ৮৫০ টাকা নেয়া হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে হানিফ পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক (উত্তরাঞ্চল) মোশাররফ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, আমরা বেশি টাকা রাখছি না। সরকার নির্ধারিত ভাড়াই রাখছি। বরং বছরের অন্য সময় আমরা ভাড়া কম রাখি।

দুপুর দেড়টার দিকে মহাখালী বাস টার্মিনালে এনা পরিবহনের কাউন্টারে দেখা যায় রংপুরের টিকিট কেনার জন্য যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তখনও টিকিট বিক্রি শুরু হয়নি।

রংপুরের ভাড়া হিনো এসি গাড়িতে ৭০০ হলেও এখন ১২০০ রাখা হচ্ছে। অপরদিকে হুন্দাই এসি গাড়ির ভাড়া ১২০০ টাকার স্থলে ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর কারণ ঈদের আগে যেসব গাড়ি গন্তব্যে যাবে, সেসব গাড়ি খালি আসবে। তাই অগ্রিম টিকিটে বাড়তি ভাড়া রাখা হচ্ছে। মহাখালী বাস টার্মিনালের একতা পরিবহনের কাউন্টারম্যান রিপন মিয়া যুগান্তরকে বলেন, আমরা চাঁপাইনবাবগঞ্জের টিকিট অনলাইনে বিক্রি করছি। অন্য সময় টিকিট ৫৬০ টাকা হলেও এখন নেয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা।

ই- বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম