বোনকে সামনে বসিয়ে নাবিলাকে ধর্ষণ!

প্রথমে নিজের বোনকে সামনে বসিয়ে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ১৭ বছল বয়সী এক ধর্ষকের বিরুদ্ধে। তার পর বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকি অভিযুক্তের বাবা-মা’ও এসে বেধড়ক পিটিয়ে যায় ওই নাবালিকা কিশোরীকে। তারপর হুমকি, মুখ খুললে ফল ভাল হবে না। তবে এবারের ছবিটা আরো মারাত্মক। যে কাজে তাকে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে তার বাব-মায়ের বিরুদ্ধে।

 

প্রতিবেশী এক কিশোর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করল ১৩ বছরের ওই কিশোরী। আপাতত আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। রবিবার (২২ এপ্রিল) ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। ওই নাবালিকা মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবেশী এক কিশোরকে বুধবার (২৫ এপ্রিল) আটক করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তার মা-বাবাকেও।

 

কানপুরের দেহাত জেলার ডিআইজি রতনকান্ত পাণ্ডে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন শিভলি শহরের বাসিন্দা ওই কিশোরীর পরিবার।

 

পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে কিশোরী দাবি করেন, রবিবার (২২ এপ্রিল) তার পাশের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে। ১৭ বছরের ওই অভিযুক্ত কিশোরের বোনের সামনেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে দাবি করেন ওই নির্যাতিতা মেয়েটি। ধর্ষণের পর ওই কিশোর তাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে বলেও জানিয়েছে সে। এরপর অভিযুক্তের মা-বাবাও তাতে যোগ দেয়। এমনকী, এ নিয়ে কাউকে কিছু জানালে তার এর পরিণতি ভাল হবে না বলেও হুমকি দেন তারা।

 

এ ঘটনার পর ওই মেয়েটি বাড়ি ফিরে তার মা-বাবাকে গোটা ঘটনা খুলে বলে। তার মা-বাবা জানিয়েছে, ধর্ষণ ও মারধরের জেরে গুরুতর আঘাত পায় তাদের মেয়ের। তাকে প্রথমে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

তবে ওই কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কানপুরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। চিকিৎসকেরাও জানিয়েছেন, ওই কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

 

এ ঘটনায় ডিআইজি রতনকান্ত জানান, ‘আজ (বুধবার ২৫ এপ্রিল) সকালে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তার মা-বাবাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তকে প্রাথমিক ভাবে আইপিসি-তে ধরা হলেও তার বিরুদ্ধে পকসো আইনেও মামলা রুজু করা হবে।’