ব্যাটিং নয়, বোলিং নিয়েই বেশি কাজ করতে চাই

ই-বার্তা ডেস্ক।।  মিডিয়াম পেস বোলিং অলরাউন্ডার থেকে হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের নতুন বলের বোলার। সাফল্যও পেয়েছেন। ইনজুরিতে থাকা সাইফউদ্দিন যত দ্রুত সম্ভব খেলায় ফেরার চেষ্টায় আছেন। ব্যাটিং নয়, বোলিং নিয়েই বেশি কাজ করতে চান বলেও জানিয়েছেন তিনি।  

অনেক দিন ধরেই পিঠের ব্যথায় ভুগছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। যাকে চিকিত্সা বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ফ্যাসিট জয়েন্ট পেইন। ইনজেকশন দিয়ে ব্যথা নিবারণের আপাত চেষ্টা হয়েছে। তাতে সফলতা পুরোপুরি আসেনি। 

এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের ইনজুরির গভীরে নজর দিতে চায় বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগ। ব্যথা বারবার ফিরে আসার মূল কারণ বের করতে চেষ্টা করবে বিসিবি। এজন্য সাইফউদ্দিনের বায়োমেকানিক্যাল পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারপরই ঠিক হবে চিকিত্সা পদ্ধতি।

তবে সাইফউদ্দিন দ্রুত মাঠে ফেরার চেষ্টায় আছেন, ‘খেলা খুব মিস করছি। কিন্তু এখানে তো কিছু করার নেই। ইনজুরির ওপর তো কারো হাত নেই। আমি এখন চেষ্টা করছি আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের আগে যাতে মাঠে ফিরে আসা যায়। সে জন্য অনেক পরিশ্রম করছি।’

এই ব্যথাকে কমবেশি সঙ্গী করেই বিশ্বকাপ খেলেছেন। সেখানে ৭ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন। সবচেয়ে বড়ো চমক ছিল, সাইফউদ্দিনের নিয়মিত নতুন বলে বল করা। এই অলরাউন্ডার বলছিলেন, তিনি এই ভূমিকার জন্য প্রস্তুত ছিলেন, ‘আমি জানতাম, ইংল্যান্ডের ঐ কন্ডিশনে আমাকে নতুন বলে হয়তো বল করতে হবে। সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করেছিলাম। আমাকে দলের সবাই খুব হেল্প করেছেন। আর ইংল্যান্ডে আমার আগে খেলার কিছু অভিজ্ঞতা ছিল। সেটাও আমাকে হেল্প করেছে।’

ব্যাটেও সাইফউদ্দিন খুব খারাপ করেছেন, তা বলা যাবে না। একটা ফিফটি অন্তত করেছেন। কিন্তু ব্যাটিং নিয়ে এত বেশি ভাবতে চান না এই তরুণ। বলছিলেন, তাতে ফোকাস নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, ‘ব্যাটিং যেমন চলছে, এ নিয়েই চলতে চাই। ব্যাটিং নিয়ে কাজ করব। কিন্তু খুব বেশি ভাবি না ওটা নিয়ে। আমার মূল শক্তি হলো বোলিং। ফলে বোলিংটা নিয়ে আরও কষ্ট করতে চাই। আমার বোলিংটা আরো কত ভালো করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবতে চাই।’

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু