বড়লেখার আগর-আতরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন, জয় করেছে মধ্যপ্রাচ্য

ই-বার্তা।।   আগর-আতরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার শিমুলীয়া ও সুজানগর গ্রামে । একই সাথে গ্রামের মানুষের মাঝে নিয়ে এসেছে অর্থনীতির বৈপ্লবিক পরির্বতন ।যতদুর চোখ যায় আগর গাছ । গ্রামে অসংখ্য আতরের কারখানা রয়েছে । শিমুলীয়া ও সুজানগরের আগর-আতর জয় করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার।

আগর-আতরেই স্বপ্ন দেখছেন,বড়লেখা ,জুড়ি ও বিয়ানীবাজার উপজেলার মানুষ রাস্তা ঘাট সবজায়গায় আগর গাছ আর বাড়িতে বাড়িতে আতরের কারখানা। গুনলে শ তিনেকের মতো হবে। তবে অধিকাংশই ছোট ও মাঝারি আকারের।

এখানকার তৈরি আতর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। চাহিদা ভালো থাকায় প্রচুর পরিমাণে আগর কাঠও রপ্তানি হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এসব কাঠ ধূপের মতো জ্বালিয়ে সুগন্ধি তৈরি করে।

শিমুলীয়া গ্রামের স্থানীয় আগর থেকে আতর উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী হাজী আবদুল আজিজ(৫০) জানান, ১৯৩০ সালেরও আগে তার দাদা সৈয়দ আবদুল মজিদ প্রথম আগর থেকে আতর উৎপাদন করে বাজারজাত করণের কাজ শুরু করে দেশের মধ্যে তার বিক্রী করতেন । এ

রপর তার দুই ছেলে আরব উদ্দীন ও আজমল শেঠ বাপের দেখানোর আগর-আতর ব্যবসা করেন। তার চাচা আজমল শেঠ ১৯৫০ সালের দিকে পরিবার নিয়ে ভারতের আসামে চলেগেলে। তার পিতা আরব আলী তার চারছেলের পরিবার নিয়ে একাই তার ব্যবসা চালিয়ে যান।

আজমল শেঠের চার ছেলে সবাই বর্তমানে আগর-আতরের অন্তর্জাতিক ব্যবসা সাথে জড়িত । শুধু তাই নয় আজমল শেঠের পরিবার ভারতের আলোচিত ব্যবসাযী ও রাজনৈতিক পরিবার ।

আজমল শেঠের পুত্র মাওলানা বদরুদ্দীন আজমল আসামের সংখ্যালঘুর অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন তিনি ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের নেতা এবং লোকসভায় ধুবরি থেকে নির্বাচিত সদস্য। পারিবারিক ব্যবসা হলো পারফিউম বা সুগন্ধি আর তার সেটা দুই হাজার কোটি রুপির ব্যবসা।

জানাগেছে, কয়েক শ বছর ধরেই সেখানকার লোকজন আগর-আতর ব্যবসায়ে আছেন। বছরে বছরে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিল্পটির সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হচ্ছেন অনেকে।

আগর উৎপাদনকারীদের দেশের মধ্যে বাংলাদেশের আবস্থান তুলনামূলক পিছনে এখানকার আগর -আতর উৎপাদনের ইতিহাস ৪০০শ বছর পুরাতন ভারতের সিমান্তবর্তী জেলা হওয়াতে মৌলভীবাজারে আসেপাশে আগর চাষের জ্ঞান ও প্রযুক্তি বিনিময় হয় ।