ভারতকে ৩৩৮ রানের টার্গেট দিল ইংলিশরা

ই-বার্তা।।  মোহাম্মদ সামির অসাধারণ বোলিংয়েই ইংল্যান্ডকে ৩৩৭ রানে বেঁধে ফেলতে পেরেছে ভারত। খেলার এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল ৪০০ রান অনায়াসেই অতিক্রম করছে ইংল্যান্ড।

উদ্বোধনীতে ১৬০ রানের জুটি গড়ে সেই আভাসই দিয়েছেন জনি বেয়ারস্টো ও জেসন রয়রা।

তবে চারশো রান না হলেও জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরির আর আর জেসন রয় ও বেন স্টোকসের জোড়া ফিফটিতে ৩৩৭ রান সংগ্রহ করেছে ইংল্যান্ড। ভারতের পক্ষে মোহাম্মদ সামি ৬৯ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন।

দুই ম্যাচ হাতে রেখে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে বিরাট কোহলিদের ৩৩৮ রান করতে হবে।

অন্যদিকে সেমিফাইনালের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে হলে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই ইংল্যান্ডের। এমন কঠিন সমীকরণ সামনে রেখে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বিশ্বকাপের স্বাগতিকরা।

রোববার ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের এজবাস্টনে টস জিতে প্রথকে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটীতে জেসন রয়ের সঙ্গে ২২.১ ওভারে ১৬০ রানের জুটি গড়েন জনি বেয়ারস্টো। ফিফটি তুলে নিয়ে কুলদীপ যাদবের বলে রবিন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন জেসন রয়। তার আগে ৫৭ বলে সাতটি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৬ রান করেন ইংলিশ এ ওপেনার।

জেসন রয় ফিরে গেলেও ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান জনি বেয়ারস্টো। ২৬তম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে সিঙ্গেল রান নেয়ার মধ্য দিয়ে শতরানের ম্যাজিকফিগার স্পর্শ করেন বেয়ারস্টো। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৭১তম ম্যাচে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি করেন তিনি।তবে সেঞ্চুরি করার পর নিজের ইনিংসা লম্বা করতে পারেননি বেয়ারস্টো। দ্বিতীয় উইকেটে জো রুটের সঙ্গে ৪৫ রান যোগ করেন। ১০৯ বলে ১০টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১১১ রান করে ফেরেন বেয়ারস্টো।

দলের দুরুন্ত শুরুর পরও ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ইংলিশ অধিনায়ক মরগান। মোহাম্মদ সামির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। মরগানের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৩৩.৪ ওভারে ২০৭ রানে ৩ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপর বেন স্টোকসের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৭০ রানের জুটি গড়েন জো রুট। ৫৪ বলে দুটি চারের সাহায্যে ৪৪ রান করে মোহাম্মদ সামির শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন রুট।

ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা জস বাটলারকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের শেষ দিকে রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব চালান বেন স্টোকস। পঞ্চম উইকেটে ৩৩ রানের জুটি গড়েন তারা। মাত্র ৮ বলে একটি চার ও দুটি ছক্কায় ২০ রান করা জস বাটলারকে তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন মোহাম্মদ সামি।