ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া ছাত্র শনাক্ত

 

ই-বার্তা ডেস্ক ।।  ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সে ভর্তি হওয়া ৪জন ভুয়া ছাত্র শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ভুয়া বলে শনাক্ত করা হয়েছে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করা ছাত্রকেও ।

 

বাকি তিনজনের মধ্যে একজনের মেধা তালিকা দ্বিতীয় অপরজনের ষষ্ঠ। এছাড়া আরেকজনের মেধা তালিকা ১৪১। তাদের সবার বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ এর ৩ ধারায় অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় ৩ ধারা অনুসারে দুই জনকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বগুড়া জেলার সদর উপজেলার নরুইল উত্তর পাড়া মোঃ জাহেদুর রহমানের ছেলে মোঃ শাহরিয়ার পারভেজ।

 

তিনি ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে ‘এ’ ইউনিটে প্রথম স্থান অধিকার করেন। অপরজন বগুড়া জেলার সদর উপজেলার চকলোকমান গ্রামের এ কে এম বদিউজ্জামানের ছেলে রিয়াসত আজিম শাদাব।

তিনিও প্রক্সির মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে ‘সি’ ইউনিটে ২য় স্থান অধিকার করেন। আদালত পরিচালনা করেন টাঙ্গাইল জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল করিম।

 

শনিবার (১২ জানুয়ারি) ভর্তি পরীক্ষায় সাক্ষাৎকার দিতে এসে ধরা পড়েন ওই শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে প্রক্সির মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে জালিয়াতির সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে দুইজনকে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

অন্য দুই শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়। ছবি, স্বাক্ষর ও পরীক্ষায় বাংলা-ইংরেজিতে লেখা বাক্যে হাতের লেখা মিল না থাকায় ভর্তি বাতিল হওয়া ২ শিক্ষার্থী হলেন, এ ইউনিটে ৬ষ্ঠ স্থান অর্জনকারী গাজীপুর রাজেন্দ্রপুর আরপি গেইটের গাজী মোহাম্মদ আলীর ছেলে গাজী মোহাম্মদ বনী ইয়ামিন শাওন এবং বি ইউনিটে ১৪১ তম স্থান অর্জনকারী টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার দিঘুলিয়া কালিপুর গ্রামের নিলমনি কর্মকারের ছেলে জয় কর্মকার।

 

ই-বার্তা /  তামান্না আলী প্রিয়া