ভিসিকে নিয়ে নোংরা মন্তব্য, শাস্তি হতে পারে ববি শিক্ষক সঞ্জয়ের!

ই-বার্তা।।  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির আবেদনের অনুমতি না পেয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এস. এম. ইমামুল হককে নিয়ে অশালীন ও নোংরা মন্তব্য করেছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় সরকার।

এই অপরাধে তাকে এর আগে বিভাগে একজন শিক্ষকের জুনিয়র বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শাস্তিমূলকভাবে দেওয়া হয়নি চেয়ারম্যানের দায়িত্বও। এটি একজন শিক্ষকের জন্য চরম লজ্জার ও অবমাননাকর।

এবার সেই শিক্ষককে নতুন করে শাস্তি দিতে চাচ্ছে বহুল আলোচিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর।

২৭ মে তার শেষ কর্মদিবসে সিন্ডিকেট সভা ডেকেছেন তিনি। এই সিন্ডিকেটে বিষয়টি উত্থাপন করে সঞ্জয় সরকারের শাস্তি দেওয়া হতে পারে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে।

ছাত্র আন্দোলনের শেষ দিকে ভিসি বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক সঞ্জয় সরকারসহ কিছু শিক্ষক।

এসময় ছাত্ররা প্রথমে তাদের ‘ভিসির দালাল’, ‘পা চাটা কুত্তা’ ও ‘সুবিধাবাদী’ আখ্যা দিলেও কৌশলগত কারণে তাদের অংশগ্রহণ মেনে নেয়। পরে ভিসিবিরোধী আমরণ অনশনেও নামে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এই শিক্ষকসহ কয়েকজন আন্দোলনকারী।

৩৫দিনের লাগাতার আন্দোলনের মুখে বাধ্য হয়ে ভিসিকে ছুটিতে পাঠায় কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনের সময় ভিসিবিরোধী নানা মন্তব্যের জন্য কর্তৃপক্ষের বিরাগভাজনের তালিকার শীর্ষে আছেন তিনি।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ভিসির যেকোনো ভুল নীতি বা হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করা প্রতিটি শিক্ষকের কর্তব্য। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহীকে নিয়ে এরকম অশালীন মন্তব্য একজন শিক্ষকের শোভা পায় না। মন্তব্যটি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের জন্য মানহানিকর।’

এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. ইমামুল হকের ফোনে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।