ভোট গণনায় সতর্ক থাকতে বললেন মমতা

ই-বার্তা ডেস্ক।।  ফেরত সমীক্ষার ফলাফলে বিজেপির এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা স্পষ্ট হওয়ার পরে গণনা কেন্দ্রে ইভিএমে নজর রাখতে চরম সতর্কতা জারি করলেন মমতা ব্যানার্জি।  মমতা বলেন, ‘‘শেষ ভোট গোনা পর্যন্ত দলীয় এজেন্টদের কোনও মতে গণনা কেন্দ্র ছেড়ে আসা চলবে না।  যতই চাপ আসুক, মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে।’

 সোমবার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর সঙ্গে বৈঠকেও তাঁরা এ প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। মমতার বক্তব্য, তাঁর এই বার্তা শুধু তৃণমূলের জন্য নয়, দেশের সমস্ত বিরোধী দলকে এই আর্জি জানাচ্ছেন তিনি।  গণনার সময় ভিভিপ্যাটের সঙ্গে ইভিএমের সামঞ্জস্য থাকছে কি না, সে দিকেও নজর রাখার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

বুথ ফেরত সমীক্ষা দেখেই মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন, প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিকবার বলেছেন, তিনশোর বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি।  ফল প্রকাশের আগে কী ভাবে সে কথা জানলেন তিনি? এর সঙ্গেও কি ইভিএম কারচুপির সম্পর্ক আছে? এ দিনও চন্দ্রবাবুকে সে কথা মনে করিয়ে দেন তিনি।

২৩ তারিখ পর্যন্ত প্রতিটি স্ট্রং রুমে রাত পাহারা-সহ কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশও দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।  ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তার ব্যবস্থাও করে ফেলেছেন তৃণমূলকর্মীরা।  মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা হবে খড়গপুরের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে।  স্ট্রং রুমও সেখানেই। তার বাইরে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি।  এ দিন সকাল থেকেই দেখা যায় তৃণমূলকর্মীরা ঠায় বসে আছেন সেখানে।

মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘‘ওখানে আমরা নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে তিনজন ভল্যান্টিয়ার রেখেছি।  সিসিটিভিতে সারাক্ষণ নজর রাখছেন তাঁরা।’’ 

দলীয় নেতৃত্বকে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।  স্ট্রং রুম পাহারা দেওয়া থেকে শুরু করে গণনা কেন্দ্রে তাঁদের কী কী করণীয়, সব বিষয়েই কর্মীদের নির্দেশ দেবেন নেতৃত্ব।

শেষ দফার ভোট-প্রচারের সময়েই ইভিএম নিয়ে যে কারচুপি হতে পারে, তার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, দিল্লি থেকে তিনি খবর পেয়েছেন স্ট্রং রুমে ঢুকে ইভিএম বদলে দিতে পারে বিজেপি।  ফলে দলীয় কর্মীদের বিশেষ পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে।  যদি কারচুপি হচ্ছে এমন সন্দেহ হয়, তা হলে তৎক্ষণাৎ তার ছবি তুলে পাঠিয়ে দিতে হবে দলীয় নেতৃত্বের কাছে। 

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু