মধ্যপ্রাচ্যে ঐক্যের ডাক চীনের, স্বাগত জানিয়েছে কাতার

ই-বার্তা ডেস্ক।।   সৌদি আরবের নেতৃত্বে কয়েকটি আরব দেশের সঙ্গে দোহার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার এমন উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গ্যাসসমৃদ্ধ দেশ কাতারকে মধ্যপ্রাচ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ আহ্বান জানান।

এদিকে কাতার বেইজিংয়ের এমন আমন্ত্রণে স্বাগত জানিয়েছে।
খবর , তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক।

বেইজিংয়ের গ্রেট হলে চীনা জনগণের উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে আঞ্চলিক সাহায্য-সহযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ সময় কাতারপ্রধান শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি উপস্থিত ছিলেন।

চীন প্রেসিডেন্ট বলেন, ভূমধ্যসাগরীয় আরব দেশগুলোতে বিরোধ ও অসঙ্গতি যা রাজনীতিক এবং কূটনৈতিক বোঝায় তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চীন সবধরনের সহযোগিতা করবে।

জিনপিং আরও বলেন, চীন সবসময় গঠনমূলক ভুমিকা পালন করবে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ দেশগুলোকে। তবে সরাসরি কীভাবে উপসাগরীয় দেশগুলোকে সহযোগিতা করবে তা উল্লেখ করেনি তিনি।

 চীনের প্রেসিডেন্ট থানিকে বলেন, পুরনো বন্ধু ভালো বন্ধু।

আল থানি বলেন, আমরা চীনে বড় বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত, অবকাঠামোগত বা অন্য যে কোনো ক্ষেত্রে আমরা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখি।

তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে আমরা চীনকে তরল গ্যাস সরবরাহ করতে প্রস্তুত আছি। আমি চীনে ওপর অনেক খুশি।

গত অক্টোবরে কাতারের জ্বালানি মন্ত্রণালয় চীনের সঙ্গে ৬ লাখ টন তরল গ্যাস সরবরাহের চুক্তি করেছে।

জানুয়ারির শুরুর দিকে, রাষ্ট্রমালিকানাধীন কাতার এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, চীনা বাজারে প্রবেশাধিকার পেতে চীনের সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের ৫ শতাংশ শেয়ার অর্জন করেছে।

মধ্যপ্রাচ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানিয়ে চীন বেশির ভাগ বিরোধ নিষ্পত্তির বাইরে থেকেছে।

চীন বাণিজ্যিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যে তার ভূমিকা পরিচালনা করছে। ওই অঞ্চলের তেলের জন্য তার কূটনীতি অব্যাহত আছে। চীন চেষ্টা করছে আরব অঞ্চলে তার অবস্থান সৃষ্টির জন্য। এদিকে গত বছর সৌদি রাজা সালমান বেইজিং সফর করেছিল।

চীন মধ্যপ্রাচ্যে সুন্দর কূটনৈতিক ভূমিকা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এ ছাড়া চীনের ইরান ও ইসরাইলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

২০১৭ সাল থেকে কাতারের সঙ্গে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং ইথিওপিয়া কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও পরিবহন সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে।

ই-বার্তা/ শফিকুল ইসলাম