মনোনয়ন জমা দিলাম, অগ্রগামী হলাম: রুপা

ই-বার্তা।।   উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়ন ফরম জমা দিলেন বগুড়া-৫ (ধুনট-শেরপুর) আসনের বাংলাদেশের মহিলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা। তিনি বলেন, মনোনয়ন জমা দিলাম, অগ্রগামী হলাম। 

 

মনোনয়ন ফরম জমা দিতে শুধুমাত্র ক্যান্ডিডেট এবং তার প্রতিনিধিদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, নারীরা এখন সব জায়গা থেকে এগিয়ে আসছে তারা আর পিছিয়ে নেই। তিনি আরো বলেন, আমি যদি নমিনেশন পেয়ে জনগনের প্রতিনিধি হয়ে আস্তে পারি আমি আমার জীবনের সর্বোচ্চ মেধা এবং শক্তি দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবো এবং তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করবো।

 

জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা ই-বার্তাকে বলেন, এই ধুনট শেরপুর আসনে আমার আগে কোনো নারী প্রতিনিধি মনোনয়ন ফরম জমা দেননি বা নমিনেশন ফরম সংগ্রহ করেন নি সেজন্য আমি বলতে চাই যেখানে অর্ধেকের বেশি নারী সেই নারীদের জন্য কখনই কোনো প্রতিনিধি খুব বেশি কিছু করার সুযোগ পাননি। নারীরাও এতোদিন তাদের অসুবিধার কথা গুলো কারোর কাছে বলতে পারেননি।

 

আমি বলতে চাই আমি যদি এই আসনে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাই আমি অন্তত সপ্তাহে একদিন নারীদের কে নিয়ে বৈঠক করে তাদের সমস্যা গুলো চিনহিত করবো এবং সেগুলো নিয়ে কাজ করবো। সর্বখেত্রে নারীদের অংশগ্রহণের যে সুযোগ সেটিকে আরো বাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো।   

 

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কারণে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। আমি জনগণের পাশেই থাকতে চাই এবং তরুণদেরকে নিয়ে কাজ করতে চাই।  এলাকার সাধারণ ভোটার ও জনগণের সঙ্গে রয়েছে তার নিবিড় সম্পর্ক।  তিনি আরো বলেন, আমার নির্বচনী এলাকা শেরপুর অনেক পিছিয়ে আছে, বগুড়া ৫ এই আসনটা যেখানে রাস্তা ঘাটের অনেক সমস্যা, যেখানকার ৮০ ভাগ মানুষ বেকার, সেই এলাকার অনেক মানুষ এখনো নিরক্ষর অন্ধকারে নিমজ্জিত, বিদ্যুতের ব্যাবস্থা নেই, অনেক রাস্তা এখনো কাঁচা। 

 

আমাদের যে বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা সহ আরো যে বিভিন্ন ভাতা প্রধানমন্ত্রী ব্যাবস্থা করেছেন তা বিগত ১০ বছর ধরে যিনি আমাদের আওয়ামীলীগ দলীয় সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি তার সঠিক ব্যাবহার করেন নি।  তিনি অনেকটা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন। এই কারণে এই এলাকার অনেক উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। 

 

জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা আরও বলেন, আমি যদি এই আসনে নমিনেশন পাই, আমি আশা করি আমি বিজয়ী হয়ে আসতে পারবো।  ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া পাওয়া নাই আমার।  আমি জনগনের জন্য কাজ করবো। 

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে তিনি ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে তিনি নিয়মিত মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে সভা, সমাবেশ ও শোডাউনসহ ব্যানার-ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপক উন্নয়ন জনগণের সামনে তুলে ধরে নৌকার পক্ষে জনমত সৃষ্টি করছেন।   
 
 
উল্লেখ্য, আগামী ২৩ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

 

 

 

ই-বার্তা / জা হা