মন্ত্রীকে চড়-থাপ্পড় মারলো যাদবপুরের শিক্ষার্থীরা

ই- বার্তা ডেস্ক।।  গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে ভারতের কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে লাঞ্চিত করা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি এখন উতপ্ত।

ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটে গিয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।

এনডিটিভির অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) নবীনবরণের আয়োজন করেছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ক্যাম্পাসে ঢোকার পথে বাবুল সুপ্রিয়কে আটকে দিয়ে ‘গো ব্যাক বাবুল সুপ্রিয়’ স্লোগান দিতে থাকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

বাবুল সুপ্রিয় অভিযোগ করেছেন, ‘একদল শিক্ষার্থী আমাকে চুল ধরে টেনে নেয় এবং ধাক্কা মারে, আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।’ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, বাবুলের গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার মুখে শিক্ষার্থীদের বড় একটি দল তাকে ঘিরে ফেলে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ঢুকতে বাধা দেয়।

এনডিটিভি বলছে, বাবুল সুপ্রিয়কে দেখার পর ক্যাম্পাসে কালো পতাকা দেখানো এবং স্লোগান দেন সিপিআইএমের স্টুডেন্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সদস্যরা। কলকাতার দৈনিকগুলোর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাবুলকে সেখানে চড়-থাপ্পড় মারা হয় এবং তার জামা ছিঁড়ে দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি এখানে (ক্যাম্পাসে) রাজনীতি করতে আসিনি। তবে আমাকে যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর আচরণে আমি মর্মাহত। তারা আমার চুল ধরে টানে এবং ধাক্কা দেয়।’

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শিক্ষার্থীরা বাবুলকে ‘চলে যেতে’ এবং তাকে ‘নকশাল’ বলেও স্লোগান দেয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাম দল সিপিআই-এম এর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে বাবুল সুপ্রিয় বলছেন তাদেরকে মাওবাদী বলার জন্য প্ররোচিত করতেই এমন স্লোগান।

বিজেপির নেতা তার ওপর এমন হামলার ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে শুক্রবার সকালে এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘ছয় ঘণ্টা পার হলো কিন্তু আপনার মুখ দিয়ে একটি শব্দও বের হলো না। আপনার নোংরা রাজনীতিই আপনার যুক্তিবোধকে পরাভূত করেছে।’

তবে সরকারের বিরুদ্ধে বাবুল সুপ্রিয়’র তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে একটি বিবৃতি দিয়েছে রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিবৃতিতে দলটি বলছে, তারা কোনোভাবেই ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। বাবুল ঘটনাটিকে রাজনৈতিক রুপ দেয়ার চেষ্টা করছে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তৃণমূল বা পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তিনি (বাবুল সুপ্রিয়) সরকারকে কোনো কিছু না জানিয়েই সেখানে গিয়েছিলেন। এছাড়া গভর্নর রাজ্য প্রশাসনকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগই দেননি।