মাদরাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে যুবকের মরদেহ

ই-বার্তা ডেস্ক।।   সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মাদরাসার সেপটিক ট্যাংক  এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম একসরা দাখিল মাদরাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত যুবকের নাম জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের খোকন গাজীর ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।

এ সময়  গ্রেফতার করা হয়, আশাশুনি উপজেলার মধ্যম একসরা গ্রামের বশির সানার ছেলে আব্দুল আজিজ (৪০), একই গ্রামের সালামুদ্দিন (খোকন) কারিগরের ছেলে আল আমিন কারিগর (২৫), অব্দুল্লাহ কারিগরের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩০) ও শরিফুল ইসলাম (২৫)।

আনুলিয়া ইউনিয়নের দফাদার আব্দুস সাত্তার জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে রবিউল, আল আমিন ও আব্দুল আজিজ একসরা লঞ্চঘাটে যাওয়ার কথা বলে জাহাঙ্গীরের মোটরসাইকেল ভাড়া করে। পথিমধ্যে মধ্যম একসরা দাখিল মাদরাসার কাছে পৌঁছালে জাহাঙ্গীরকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে মরদেহ মাদরাসার সেপটিক ট্যাংকে ফেলে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিহতের স্ত্রীর কাছ থেকে শুনে মোটরসাইকেল ভাড়া নেয়া রবিউল ইসলামকে ডেকে এনে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনকে খবর দেয়া হয়। পরে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীরকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে সে। তার স্বীকারোক্তির পর তাকে ও আল আমিনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়া হয়। রাত ১২টার দিকে পুলিশ এসে মধ্যম একসরা দাখিল মাদরাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

এই বিষয়ে আশাশুনি থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ই-বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম