মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করলেন মির্জা ফখরুল

 

ই-বার্তা ডেস্ক ।। বাংলাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারের দমন-পীড়নসহ নানা বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে সহকারি মহাসচিব (রাজনীতি) মিরোস্লাভ জেনকার সাথে বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল।

 

বৈঠকে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আবেদনসহ বেশ কিছু ডক্যুমেন্ট হস্তান্তর করেন তিনি।এরপর খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের অভিপ্রায়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

 

শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ওয়াশিংটন ডিসিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক দফতরের একজন ডেস্ক অফিসারের সাথে এ বৈঠক হয়।আসন্ন নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ লোকজনের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে বাংলাদেশের ‘বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-অপশাসনের ফিরিস্তি’ উপস্থাপনের করেন মির্জা ফখরুল।

 

বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র এদিন বিকালে এই সংবাদদাতাকে জানান,‘আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতায় সবসময়ই বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে।’তবে ওই মুখপাত্র এর চেয়ে বেশি তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।নাম প্রকাশ না করা শর্তে অপর একটি সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের বৈরী আচরণের শিকার হয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে হয়েছে, সারাদেশে বিএনপির বহু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং অনেক নেতা গুম হয়েছেন বলেও মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেছেন।

 

‘শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে বাংলাদেশে কোনভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না’ বলেও মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেছেন। বৈঠকে বিএনপি নেতা তাবিথ আওয়াল এবং হুমায়ূন কবীরও ছিলেন।এদিকে মির্জা ফখরুলের দেয়া ডক্যুমেন্টগুলো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গোচরে আনা হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

 

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এ সংবাদদাতাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে আসবেন। তার সফরের প্রাক্কালে জামায়াত-শিবিরের মদদে বিএনপি যাতে কোন ধরনের অপতৎপরতা চালাতে না পারে, সে ব্যাপারে আওয়ামী পরিবারের সকলে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় রয়েছে। এজন্যই মির্জা ফখরুল অত্যন্ত গোপনে সরকার তথা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বৈঠকের প্রয়াস নেন।’

 

 

 

ই-বার্তা / ডেস্ক